লাইফস্টাইল

বয়স বাড়তেই ডায়াবেটিস কতটা মারাত্মক হতে পারে জেনে নিন

বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগী খুঁজে পাওয়া যাবে প্রায় প্রতিটি ঘরেই! পুরো বিশ্বেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ব্যাধিগুলোর মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিস।

Advertisement

ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকির কারণগুলো হলো- বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, স্থূলতা, কম শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদি। যেহেতু এটি বয়স্কদের মধ্যে খুব সাধারণ তাই এর লক্ষণগুলো আগে থেকে জেনে রাখা ভালো সবার জন্যই।

ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?

সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলো হলো- অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া। বয়স্করা সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভোগেন।

Advertisement

একে ম্যাচিউরিটি অনসেট ডায়াবেটিসও বলা হয় সাধারণত ৪৫-৫০ বছর বয়সের দিকে শুরু হয় এই ডায়াবেটিস। তবে বর্তমানে এর চেয়ে কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?

প্রাথমিক অবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোগীকে ইনসুলিনের বদলে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে যে কোনো কারণে গুরুতর অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে।

বয়স বাড়তেই কেন ডায়াবেটিস মারাত্মক রূপ নেয়?

Advertisement

ডায়াবেটিস বয়স্কদের মধ্যে অনেক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এমনিতেও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, পেরিফেরাল ভাস্কুলার রোগ, দীর্ঘস্থায়ী রেনাল ব্যর্থতা বা অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।

তাই ডায়াবেটিসের চিকিৎসার পাশাপাশি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করাও জরুরি। এজন্য নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি। বয়স বাড়তেই ডায়াবেটিসজনিত লক্ষণ এমনকি অঙ্গ ব্যর্থতারও ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বার্ধক্যের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ইনসুলিন প্রতিরোধ ও অগ্ন্যাশয়ের আইলেট ফাংশন দুর্বল হযয়ে যায়। ফলে আপনার আয়ু ৭৪ বছর পর্যন্ত কমতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে সতর্ক থাকবেন

নিয়মিত ডায়াবেটিস পরিমাপ করা জরুরি। অন্তত ৩-৬ মাস পরপর সবারই উচিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা। শুধু ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া নয়, বরং কমে যাওয়া যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয় এটিও বেশ বিপজ্জনক। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে বিপজ্জনকভাবে কম। এটি তখনই ঘটে যখন রোগী ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করে, তবে খাবার ঠিকমতো খায় না।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে রোগী চেতনাও হারাতে পারেন। এক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা না হলে তার স্থায়ী মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।

ভারতের কেয়ার ফোর প্যারেন্টসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সার্জন (জেরিয়াটিক কেয়ার) ডা. আমান খেরা জানান, শুধু মুখে চিনি দিলেই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে করণীয়

>> ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না।>> প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটা জরুরি।>> নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য। >> প্রশিক্ষিত পুষ্টিবিদের কাছ থেকে ডায়েট চার্ট সংগ্রহ করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম