জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তার ঠিক নেই। সেজন্য এখন মোমবাতির আলোই ভরসা। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায়ও মোমবাতির সংকট দেখা দিয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর, ফকিরাপুল ও সেগুনবাগিচা এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সেখানে পাড়া-মহল্লার দোকানে যারাই আসছেন তারা মোমবাতি খোঁজ করছেন। কোনো কোনো দোকানে মিললেও অধিকাংশ দোকানে সন্ধ্যায় মোমবাতি ছিল না।
অনেকেই আবার আশপাশের এলাকা ঘুরে মোমবাতি ও দেশলাই সংগ্রহ করেছে। ফলে সময় যত যাচ্ছে ততই মোমবাতির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
সিয়াম সামি নামে একজন বলেন, তিন থেকে চারটি দোকান ঘুরে মোমবাতি পাইনি। শেষ একটি দোকানকে মোমবাতি পেয়েছি। তাও দোকানি দুটোর বেশি দেননি।
Advertisement
তিনি বলেন, বাসায় আইপিএস ও চার্জারের ব্যাকআপ শেষ হয়ে গেছে। তাই এটাই এখন ভরসা।
সেগুনবাগিচার মুদি দোকানি হাবিবুর রহমান বলেন, এখন স্বাভাবিক সময় খুব বেশি মোমবাতি বিক্রি হয় না। সেজন্য রাখিও কম। কিন্তু হঠাৎ এখন চাহিদা বেড়েছে। শনিবার চার প্যাকেট মোমবাতি কিনে রেখেছিলাম। সেগুলো দুপুরেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আর মোমবাতি নেই।
তিনি বলেন, যারাই আসছেন, অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে দু-একটা মোমবাতি চাচ্ছেন। দিতে পারছি না।
শান্তিনগর বাজারে নোয়াখালী জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, মোমবাতির অনেক চাহিদা এখন, কোনো ক্রেতাকে বেশি দিচ্ছি না। দু-একটা খুচরা বিক্রি করছি। সেজন্য এখনো কিছু মোমবাতি রয়েছে।
Advertisement
ওই এলাকায় সুজন নামে এক বাসার কেয়ারটেকার বলেন, বাসায় কয়েকটি ফ্লাটের মালিকরা মোমবাতি কিনতে দিয়েছে। এত মোমবাতি কোথাও পাচ্ছি না একসঙ্গে। তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দুই-চারটা করে সংগ্রহ করছি।
এনএইচ/আরএডি/এএসএম