ধর্ম

সন্তানের জন্য হজরত জাকারিয়ার দোয়া

বৃদ্ধ বয়সে হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম সন্তানের আকাঙ্ক্ষায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তাঁর স্ত্রীকে বার্ধক্যে গর্ভধারণের উপযোগী করে দেওয়ার আহ্বান জানান। আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেন। তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করেছিলেন-

Advertisement

رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খাইরুল ওয়ারিছিন।’

অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে একা (নিঃসন্তান) রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৯)

Advertisement

এ দোয়ার ব্যাখ্যায় এসেছে, স্ত্রীকে যোগ্য করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তার বন্ধ্যাত্ব দূর করে দেওয়া এবং বার্ধক্য সত্বেও তাকে গর্ভধারণের উপযোগী করা। আয়াতে ‘সবচেয়ে ভালো শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী আপনিই’ এর মানে হচ্ছে, সন্তান না দিলেও কোনো দুঃখ নেই। আপনার পবিত্র সত্তা-উত্তরাধিকারী হবার জন্য যথেষ্ট। কারণ আমার জানা আছে যে, আপনারা দ্বীনের জন্য আপনি কাউকে না কাউকে মনোনীত করবেন। যিনি আপনার দ্বীনকে সঠিকভাবে প্রচার করতে পারবে। (ফাতহুল কাদির)

হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের একজন উত্তরাধিকারী পুত্ৰ সন্তান পাওয়ার একান্ত বাসনা ছিল। তিনি তারই দোয়া করেছেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলেছিলেন যে, পুত্ৰ পাই বা না পাই; সর্বাবস্থায় আপনিই উত্তম ওয়ারিশ। এটা নবীসূলভ শিষ্টাচার প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়।

আয়াতের অন্য অর্থ হচ্ছে, ওয়ারিশ বানানোর মালিক তো আপনিই। আপনিই তো দিতে পারেন। আপনার দ্বীন কখনও ধ্বংস হবে। না। কিন্তু আমার ইচ্ছা আমার বংশ এ ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হোক। (কুরতুবি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর নিঃসন্তান দম্পতিকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে সন্তান পাওয়ার আবেদন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/জিকেএস