দেশে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা আরও বেড়েছে। আগে থেকেই সবুজ কারখানার তালিকায় বিশ্বে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। এ তালিকায় যুক্ত হলো আরও দুই কারখানা। এগুলো হলো- গাজীপুরের আমান টেক্সটাইল লিমিটেড এবং ঢাকার আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড। এ নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৩টি।
Advertisement
এছাড়া এ তালিকায় নাম লেখাতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ৫৫০টি কারখানা।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি)’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারখানাগুলোকে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে।
Advertisement
ক্রেতারা কোনো কারখানা থেকে পোশাকপণ্য কেনার সময় এলইইডির গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট আছে কি না, তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, নতুন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আমান টেক্সটাইল লিমিটেড পেয়েছে প্লাটিনাম রেটিং, আর আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড পেয়েছে গোল্ড রেটিং।
এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে সুবজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা এখন ১৭৩টি। এর মধ্যে প্ল্যাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৫৪টি, গোল্ড ক্যাটাগরিতে ১০৫টি, সিলভারে ১০টি, আর সার্টিফায়েড চারটি। এছাড়া গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা।
আরও পড়ুন: সবুজ কারখানায় এখনো শীর্ষে বাংলাদেশ, নতুন যোগ হলো তিনটি
Advertisement
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতে এলইইডির সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমেই জানতে চায়, তাদের পোশাকপণ্য কোথা থেকে এসেছে, কোন পরিবেশে তৈরি হয়েছে। সেখানে কীভাবে উৎপাদন হয়েছে বা কোনো ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে কি না। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে এলইইডি সার্টিফিকেটের বিকল্প নেই।
ইএআর/ইএ/এএসএম