শিক্ষা

প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি: ফের নীতিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি নীতিমালায় আবারও সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে বদলি নির্দেশিকার কিছু শর্তের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষকরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করায় কিছু শর্ত শিথিল করা হচ্ছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়।

Advertisement

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উপজেলাভিত্তিক বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬ টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া চালু হলেও এমন কিছু শর্ত রয়েছে যার কারণে অনেক শিক্ষক আবেদন করতে পারছেন না। ফলে ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হলেও অনেকেই এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বদলি নির্দেশিকার ৩ দশমিক ৩ ধারায় বলা হয়েছে—যেসব বিদ্যালয়ে চার বা তার কম শিক্ষক কর্মরত আছেন, কিংবা শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ৪০ এর বেশি রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। নীতিমালার এই অংশ পূরণ না করার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন না।

Advertisement

এছাড়া নির্দেশিকায় কোনো শিক্ষকের স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে তার স্বামী-স্ত্রী কর্মস্থলে বদলির সুযোগও রাখা হয়নি। ফলে অনলাইন বদলির সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। আগের নির্দেশিকায় উপজেলার বাইরে থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক বদলির সুযোগ থাকলেও ২০২২-এর নির্দেশিকায় করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এর ফলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক উপজেলার বাইরে থেকে বদলি হয়ে আসার সুযোগ হারাচ্ছেন।

বদলির নির্দেশিকার এসব শর্তের কারণে শতকরা ৮০ ভাগ শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারছেন না বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে অনেক শিক্ষক আবেদন করতে পারছেন না বলে অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আশা করছি, খুব শিগগির অনলাইন বদলি নির্দেশিকার কিছু শর্ত সংশোধন করা হবে। যেন শিক্ষকরা কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন। বদলির সুবিধা যেন সবাই পান, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এমএইচএম/আরএডি/জিকেএস

Advertisement