ফুটবল ম্যাচ ঘিরে স্টেডিয়ামে সংঘর্ষ-পদদলিত হয়ে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার। এমন ভয়াবহ ট্রাজেডি কেন ঘটলো সে বিষয়ে যথাযথ তদন্ত এবং এতে ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
Advertisement
ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম কমপাসকে বলেছেন, এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত... এটি আমাদের ফুটবলকে এমন সময়ে ‘আহত’ করেছে, যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা ম্যাচের আয়োজন ও সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করবো। আমরা কি ম্যাচে সমর্থকদের উপস্থিতি আবারো নিষিদ্ধ করার দিকে যাবো? সেটাই আলোচনা হবে।
ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘদিনের সমস্যা। সেখানে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে আগেও বহুবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
শনিবারের (১ অক্টোবর) ট্রাজেডির পর ইন্দোনেশিয়ায় লিগা ১-এর পরবর্তী সব ম্যাচ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যতদিন এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন শেষ না হয়, ততদিন এসব ম্যাচের আয়োজন বন্ধ থাকবে।
রোববার টেলিভিশনের এক ভাষণে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী, জাতীয় পুলিশপ্রধান এবং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে ফুটবল ম্যাচ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার পূর্ব জাভার মালাং শহরে ফুটবল খেলায় জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮০ জন।
পূর্ব জাভার গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড় কোটি রুপিয়া (প্রায় এক লাখ টাকা) পাবে। প্রাদেশিক সরকার এক কোটি রুপিয়া এবং স্থানীয় রিজেন্সি ৫০ লাখ রুপি করে দেবে তাদের।
Advertisement
তিনি বলেন, এটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতির অংশ।
সূত্র: সিএনএ, জাভা পোস, দ্য গার্ডিয়ানকেএএ/