তিনটি কাজ ঈমানের অন্তরায়। মানুষকে প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে অবশ্যই তাকে তিনটি কাজ ছেড়ে দিতে হবে। কোরআনের বিধান মতে মানুষের গোমরাহ তথা পথভ্রষ্ট হওয়ারও বড় কারণ তিনটি। কাজ তিনটি কী?
Advertisement
১. নফসের খাহেশ মোতাবেক চলা। আল্লাহর হুকুম ত্যাগ করে নিজের নফসের খাহেশ মোতাবেক চলা যাবে না। আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে অবশ্যই তাকে নফসের খাহেশাত ত্যাগ করতে হবে।
২. রুসুম-রেওয়াজ তথা বাপ-দাদার প্রথা অনুযায়ী চলা ফেরা করা। আল্লাহর হুকম লঙ্ঘন করে বংশের রুসুম-রেওয়াজ তথা বাপ-দাদার প্রচলিত পথ ও মত অনুসরণ করা। প্রকৃত ঈমানদার কখনো এমনটি করতে পারে না। বরং ঈমানদার রুসুম রেওয়াজের পরিবর্তে মহান আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে।
৩. দুনিয়াদার মানুষের আনুগত্য করা। কোনো কথা ও কাজে দুনিয়াদার মানুষের আনুগত্য করা যাবে না। আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য না করে দুনিয়ার সমাজপতিদের আনুগত্য করা হারাম তথা নিষিদ্ধ। এমনটি করলে প্রকৃত ঈমানদার হওয়া যাবে না।
Advertisement
খাঁটি মুসলমান হতে হলে উক্ত তিন প্রকারের রোগ ও গোমরাহী হতে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে হবে। প্রকৃত ঈমানদার শুধু ঐ ব্যক্তিকেই বলে যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো হুকুম মেনে চলে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করে না।
সেই ব্যক্তিই প্রকৃত ঈমানদার তথা মুসলমান যে, পূর্ণ আন্তরিকতা সঙ্গে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের শিক্ষাই সত্য। এর বিপরীত যা, তা সবই মিথ্যা। এবং মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল ও উন্নতি একমাত্র আল্লাহ তাআলা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান শিক্ষার মধ্যেই নিহিত আছে।
আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে উপরোক্ত তিনটি বিষয় পরিহার করে; কোরআন ও সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও অনুকরণ করে প্রকৃত ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement