পি কে এমন সব কৌশলে ঋণ নিয়েছে যাতে তাকে সরাসরি ধরা কঠিন। তাকে এখনো দেশে আনা যায়নি, আগামীতে আনা যাবে কি না তাও জানা নেই।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণই খেলাপি। খেলাপি হওয়া এসব ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানতও নেই। তাই জামানতের সম্পদ বিক্রি না করে কোম্পানিগুলো পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যাংক বহির্ভূত এ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এরই মধ্যে হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে অনেকগুলো কোম্পানির পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।
Advertisement
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইএলএফএসএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মশিউর রহমানসহ পর্ষদের পরিচালকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পাওনা ২৬০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে তাদের বন্ধকি সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য মাত্র ৩৬ কোটি টাকা। তাই এসব প্রতিষ্ঠান বিক্রি না করে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো চালু হলে দুই থেকে চার বছরের মধ্যে লাভজনক অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে।
পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড, আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং রহমান কেমিক্যালস লিমিটেড।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঋণ নিয়েছে পি কে হালদারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। আমাদের প্রথম প্রচেষ্টা ছিল পি কে হালদারকে যদি আনতে পারি তাহলে তার কাছ থেকে এগুলো নেওয়া সহজ হবে। আর প্রক্রিয়ায় গেলে অনেক সময় লাগবে। পি কে এমন সব কৌশলে ঋণ নিয়েছে যা তাকে সরাসরি ধরা কঠিন। তাকে এখনো দেশে আনা যায়নি, আগামীতে আনা যাবে কি না তাও জানি না। আমানতকারীদের পাওনা পরিশোধ বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের কম টাকা আমানত আছে তাদের প্ররিশোধ করা শুরু করেছি। অর্থাৎ নিচ থেকে দেওয়া হচ্ছে। নতুন বোর্ড আশার পর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫২ জন আমানতকারীর ১৩৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, এভাবে অন্যদেরও দেওয়া হবে।
Advertisement
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস