আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আওতায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে নাটক ‘নৈশব্দ যোদ্ধা’। শৌর্য দীপ্ত সূর্যের রচনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে শৌর্য দীপ্ত সূর্য ও হাসান সিকদার। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, অরুণা বিশ্বাস, নাজিয়া হক অর্ষা, রামিজ রাজু, মৃণাল দত্ত, এম আর মাহবুবু, সুহৃদ জাহাঙ্গীর, অর্ণব রায়, তৃণা ও একটি বিশেষ চরিত্রে ভাষা সৈনিক ড. জসিম উদ্দিন আহমদ। পরিচালক জানালেন, নাটকটির শুটিং হয়েছে গত ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি ঢাকার উত্তরা, কলাবাগান, রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিল ও ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘরের মতো লোকেশনে। এর গল্পে দেখা যাবে- শ্বশুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে আফরোজা সন্তান শারমিনকে নিয়ে দেশে আসেন। শারমিনের এটাই প্রথম দেশে আসা। শ্বশুরের মৃত্যুর কারণে যতটা না দায়িত্ব পালন তার চেয়ে বেশি হয়ে ওঠে তাদের ঢাকার বিশাল বাড়িটা বিক্রি করে দেয়া। ফেসবুকের কল্যাণে বিপ্লবের কাছেই শারমিন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে। একসময় শারমিন তার দাদার রহস্যময় জীবনের কারণ খুঁজতে থাকে। একদিন গোপান ড্রয়ার থেকে একটা ডাইরি আবিস্কার করে। সেই ডাইরি থেকে নাম ঠিকানা নিয়ে পুরান ঢাকায় এক বৃদ্ধাকে খুঁজে বের করেন। মহিলাকে একটি আংটি দেখান। এই আংটি দেখে তিনি বলেন, যে এটা একজন ভাষা শহীদের আংটি। বিপ্লব মহিলাকে বলেন, রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউর রহমানের বাইরে তো আমরা কোনো ভাষা শহীদের নাম শুনিনি। মহিলা তখন বলেন, তাদের বাইরেও আমি আরেকজন ভাষাসৈনিককে চিনি। বৃদ্ধা ওই শহীদের বর্ণনা দিতে থাকেন। এইরকম একজন ‘নৈশব্দ যোদ্ধা’র কথা শুনে শারমিন শিউরে ওঠেন। বাংলা ভাষার প্রতি এদেশের মানুষের গভীর মমত্ববোধ দেখে শারমিন অবাক হয়ে যান।উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তার বাড়িটা ভাষা আন্দোলনের গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে দান করে শুধু তার দাদা ইকবাল হাসানের ডাইরিটাকে একখন্ড বাংলাদেশ মনে করে এদেশ থেকে নিয়ে চলে যান তিনি। এলএ/এবিএস
Advertisement