আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাকে যে ডাকে, আমি তার ডাকেই সাড়া দেই, যখনি সে ডাকে।’ এ নির্দেশনা থেকে বোঝা যায়, মানুষ যখনই আল্লাহ তাআলাকে ডাকে, কাকুতি-মিনতি করে, সমস্যার কথা তুলে ধরে, আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়, তখনই আল্লাহ তাআলা বান্দার ডাকে সাড়া দেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমের অনেক সুরায় তাকে ডাকার চমৎকার সব কৌশলগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন এভাবে-
Advertisement
১. رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাউ ওয়া ফিল আখেরাতি হাসানাতাউ ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদের দোজখের আজাব থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২০১)
২. رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাও ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়াংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদের দৃঢ়পদ রাখ; আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৫০)
৩. رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَ اعۡفُ عَنَّا ٝ وَ اغۡفِرۡ لَنَا ٝ وَ ارۡحَمۡنَا ٝ اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন্নাসিনা আউ আখতানা। রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইসরাং কামা হামালতু আলাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা। রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাক্বাতা লানা বিহি, ওয়া‘ফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফানছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’
Advertisement
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আর আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ। হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্যে কর। (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮৬)
৪. رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُউচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা‘দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লা দুংকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হাব।’অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! সৎ পথ প্রদর্শনের পরে তুমি আমাদের অন্তরগুলোকে বক্র করে দিও না, আমাদের তোমার কাছ থেকে রহমত প্রদান কর, প্রকৃতপক্ষে তুমিই মহান দাতা।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ৮)
৫. رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।’অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদের দোজখের আজাব থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৬)
৬. رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ اِسۡرَافَنَا فِیۡۤ اَمۡرِنَا وَ ثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَ انۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইছরাফানা ফি আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদা মানা ওয়াংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙঘন ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পাপসমূহকে, আর কাফির কওমের উপর আমাদের সাহায্য করুন।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৪৭)
Advertisement
৭. رَبَّنَاۤ اِنَّکَ مَنۡ تُدۡخِلِ النَّارَ فَقَدۡ اَخۡزَیۡتَهٗ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ اَنۡصَارٍউচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন নারা ফাকাদ আখযাইতাহু ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন আংচার।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় তুমি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে তুমি অপমান করবে। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৯২)
৮. رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعۡنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیۡ لِلۡاِیۡمَانِ اَنۡ اٰمِنُوۡا بِرَبِّکُمۡ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ کَفِّرۡ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الۡاَبۡرَارِউচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নানা সামিনা মুনাদিয়াই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না। রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়িআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা শুনেছিলাম একজন আহবানকারীকে, যে ঈমানের দিকে আহবান করে যে, ‘তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন’। তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং বিদূরিত করুন আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর আমাদেরকে নেককারদের সঙ্গে মৃত্যু দিন।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৯৩)
৯. رَبَّنَا وَ اٰتِنَا مَا وَعَدۡتَّنَا عَلٰی رُسُلِکَ وَ لَا تُخۡزِنَا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّکَ لَا تُخۡلِفُ الۡمِیۡعَادَ উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়া আদতানা আলা রুসুলিকা ওয়া লা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়ামাতি ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আর আপনি আমাদেরকে তা প্রদান করুন যার ওয়াদা আপনি আমাদের দিয়েছেন আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে। আর কেয়ামতের দিনে আপনি আমাদের অপমান করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৯৪)
১০. رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَ اِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَ تَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাছিরিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর জুলুম করেছি। আর যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
১১. رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا مَعَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তাঝআলনা মাআল ক্বাওমিজ জালিমিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করো না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৪৭)
১২. رَبَّنَا افۡتَحۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ قَوۡمِنَا بِالۡحَقِّ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡفٰتِحِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানাফতাহ বাইনানা ওয়া বাইনা কাওমিনা বিলহাক্কি ওয়া আংতা খাইরুল ফাতিহিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমাদের ও আমাদের কওমের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৮৯)
১৩. رَبَّنَاۤ اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّ تَوَفَّنَا مُسۡلِمِیۡنَ উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সবরাও ওয়া তাওয়াফফানা মুসলিমিন।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদের মৃত্যু দান করুন।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১২৬)
১৪. رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَۃً لِّلۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ وَ نَجِّنَا بِرَحۡمَتِکَ مِنَ الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তাঝআলনা ফিতনাতাল লিলকাওমিজ জ্বালিমিনা ওয়া নাঝ্ঝিনা বিরাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কাফিরিন।'অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আপনি আমাদের জালিম কওমের ফিতনার পাত্র বানাবেন না; আর তোমার অনুগ্রহে আমাদের কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা ইউনুছ : আয়াত ৮৫-৮৬)
১৫. رَبَّنَاۤ اِنَّکَ تَعۡلَمُ مَا نُخۡفِیۡ وَ مَا نُعۡلِنُ ؕ وَ مَا یَخۡفٰی عَلَی اللّٰهِ مِنۡ شَیۡءٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فِی السَّمَآءِ উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নাকা তালামু মা নুখফি ওয়া মা নুলিনু ওয়া মা ইয়াখফা আলাল্লাহি মিন শাইয়িন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি জানেন, যা আমরা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি, আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কোন কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন থাকেনা।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৮)
১৬. رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুংকা রাহমাতাও ওয়া হায়্যি লানা মিন আমরিনা রাশাদা।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! তোমার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দাও আর আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দাও।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ১০)
১৭. رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًاউচ্চারণ : ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুরাতা আয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব!, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ করো।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৭৪)
১৮. رَبَّنَا وَسِعۡتَ کُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَکَ وَ قِهِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِউচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়াসিতা কুল্লা শাইয়ির রাহমাতাও ওয়া ইলমান তাগফির লিল্লাজিনা তাবু ওয়াত্তাবাউ সাবিলাকা ওয়াক্বিহিম আজাবাল ঝাহিম।’অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তওবা করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদের তুমি ক্ষমা করো, আর জাহান্নামের আজাব থেকে তাদের রক্ষা করো।’ (সুরা মুমিন : আয়াত ৭)
১৯. رَبَّنَا وَ اَدۡخِلۡهُمۡ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدۡتَّهُمۡ وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ۙউচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া আদখিলহুম জান্নাতি আদনিল্লাতি ওয়া আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবায়িহিম ওয়া আযওয়াঝিহিম ওয়া জুর্রিয়্যাতিহিম; ইন্নাকা আংতাল আযিযুল হাকিম।’অর্থ :‘হে আমাদের রব! আর আপনি তাদের স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদের দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরও। নিশ্চয়ই আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’ (সুরা মুমিন : আয়াত ৮)
২০. رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَউচ্চারণ : ‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)
২১. رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا وَ لِاِخۡوَانِنَا الَّذِیۡنَ سَبَقُوۡنَا بِالۡاِیۡمَانِ وَ لَا تَجۡعَلۡ فِیۡ قُلُوۡبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّکَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌউচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি ওয়ালা তাঝআল ফি কুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাজিনা আমানু; রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের আগে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু।’ (সুরা হাশর : আয়াত ১০)
২২. رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَ اِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُউচ্চারণ : ‘রাব্বানা আলাইকা তাওয়াক্কালনা ওয়া ইলাইকা আনাবনা ওয়া ইলাইকাল মাছির।’অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে।’ (সুরা মুমতাহিনা : আয়াত ৪)
২৩. رَبَّنَاۤ اَتۡمِمۡ لَنَا نُوۡرَنَا وَ اغۡفِرۡ لَنَا ۚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌউচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতমিম লানা নুরানা ওয়াগফিরলানা ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’অর্থ : ‘হে আমাদের রব!, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদের ক্ষমা করুন; নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৮)
এমএমএস/এমএস