জাতীয়

‘বৈশ্বিক উষ্ণতায় উপকূল অঞ্চল বিলীন হচ্ছে’

বৈশ্বিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। না হয় উপকূল অঞ্চলগুলো পানির তলদেশে চলে যাবে। প্যারিস সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।

Advertisement

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের (কফ-২৭) আয়োজন হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বরে। উন্নত দেশের কারণে আমাদের পরিবেশের উপর যে প্রভাব পড়েছে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত কপ-২৭ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ও নাগরিক সমাজের অভিমত অনুষ্ঠানে এ দাবি করা হয়।

পরিবেশবাদীরা বলেন, পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে চলছে। প্যারিস সম্মেলনে উষ্ণতা কমানো ও এ সংক্রান্ত ফান্ড তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিদেশ থেকে সরকারের কাছে যে পরিমাণে অর্থ আসছে তাও সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।

Advertisement

‘বর্তমানে পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে জলবায়ুর বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক লাভের জন্য উষ্ণতা বাড়াচ্ছে। এতে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বসবাস করা মানুষ। আমাদের দেশে নদী ভাঙ্গনের মাত্রা বেড়ে গেছে। চরঅঞ্চলের মানুষ ঢাকায় চলে আসছেন। এসব বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। সরকারের মধ্যে নিজের সমন্বয়হীনতার কারণে বিদেশ থেকে ফান্ড আসলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।’

তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ শতাংশের উপরে গেলে চর ও উপকূল অঞ্চলগুলো ডুবে যাবে। তারা তখন কোথায় যাবেন? বিশ্বের তিন ভাগের এক অংশ পানিতে তলিয়ে যাবে। এর পরিণাম কি হবে তা ভাবা যায় না। পৃথিবীতে গ্রীন হাউজ তৈরি করতে না পারলে আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উপর চাপ বাড়াতে হবে। জলবায়ু মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ফান্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্যারিস সম্মেলনে ফান্ড দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কপ-২৭ সম্মেলনে চাপ তৈরি করা প্রয়োজন।

বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার বলেন, গত কপ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে জানিয়েছেন যে, শিল্প উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলো যেভাবে জলবায়ু নষ্ট করছে সেটির সমাধানে তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। বিদেশ থেকে এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত ফান্ড আসে না। কিছু প্রকল্পভিত্তিক অর্থ আসে। সেখান থেকে কেউ চাইলে দেওয়া সম্ভব হয় না।

তিনি আরও বলেন, রামপাল এলাকার তিনটি গ্রামে খাবার পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। সেখানে গভীর নলকূপ খনন করলেও খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে অনেক অঞ্চলের এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে সরকার থেকে ৯৬১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করতে কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

এমএইচএম/জেএস/এএসএম