খুব দ্রুত কিংবা আরেকটু বেশি সময়, নেইমার দাঁড়িয়ে এমন একটি রেকর্ড ভাঙার সামনে, যা প্রতিটি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার স্বপ্ন দেখে; কিন্তু সেই এই রেকর্ড অর্জন করার সাহস করতে পারে না।
Advertisement
তবে নেইমার সেই রেকর্ডটির একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে। ফুটবল সম্রাট পেলের রেকর্ড ভাঙার চেয়ে আর মাত্র দুই ধাপ পিছিয়ে রয়েছেন পিএসজি তারকা। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে এক গোল করার পর নেইমারের নামের পাশে জাতীয় দলের হয়ে শোভা পাচ্ছে মোট ৭৫টি গোল।
আগামী বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের নেতৃত্বই থাকছে নেইমারের ওপর। বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে কাতারে যাত্রা শুরু করবে সেলেসাওরা। হয়তো বা সেখানেই পেলের কৃতিত্বকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন নেইমার।
গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি একবার বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটা অবশ্যই দারুণ একটি গর্বের বিষয়। যদি আমি বলি যে, এ ব্যাপারে কোনো চিন্তা করছি না, তাহলে সেটাকে মিথ্যা বলা হবে। অবশ্যই, এটা আমার ব্যক্তিগত একটি লক্ষ্য। আমি এই অর্জনটি চাই। আমি যদি পেলের রেকর্ড ভাঙতে পারি, তাহলে সেটা হবে আনন্দের। কারণ, তিনি প্রতিটি ব্রাজিলিয়ানের আদর্শ।’
Advertisement
ফিফার রেকর্ড হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে পেলের মোট গোলসংখ্যা ৭৭টি। কিন্তু ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের হিসেব অনুযায়ী জাতীয় দলের হয়ে পেলের মোট গোলের সংখ্যা ৯৫টি। ফিফার হিসেবের চেয়ে ১৮টি বেশি।
ফিফা এবং ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের দুই ভিন্ন হিসেবের কারণে ব্রাজিলেরই গ্লোবো ই স্পোর্ট পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। রেকর্ড ঘেঁটে দেখেছে তারা। পুরো ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ার মূল ব্যক্তি ছিলেন আন্তোনিও কার্লোস ন্যাপোলিয়াও। তিনি বলেন, ‘১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে ব্রাজিল অনেকগুলো দেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। যে ম্যাচগুলোতে পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে থাকতো। প্রতিটি মাঠেই উচ্চমূল্য দিয়ে টিকিট কিনতে হতো। তবুও, গ্যালারিতে তিল ধারনের ঠাঁই হতো না।’
ন্যাপোলিয়াও জানিয়েছেন, এসব ম্যাচেরই অনেক গোল ফিফার হিসেবে উঠে আসেনি। বিশেষ করে, পেলে মালমো, সুইডেনের এলকে, ইতালির ইন্টার, স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, গুয়াদালাজারার সম্মিলিত দল এবং মেক্সিকোর লিওঁর বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছেন পেলে এবং তার দল।
অন্যদিকে এটা সত্য যে, নেইমারের অলিম্পিকে করা গোল তার জাতীয় দলের রেকর্ডে যোগ করা হয়নি। লন্ডনে সিলভার এবং রিও অলিম্পিকে গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন নেইমার। দুই গেমসে সব মিলিয়ে করেছিলেন ৭ গোল। অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল হওয়ার কারণে অলিম্পিকের গোল নেইমারের জাতীয় দলের রেকর্ডে যোগ হয়নি।
Advertisement
আইএইচএস/