হৃদরোগের সমস্যায় বর্তমানে অনেক কম বয়সীরাও ভুগছেন। আবার অজান্তেই অনেকের হৃদরোগের কারণে হচ্ছে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক।
Advertisement
অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিদ্রাসহ মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী ক্রমশ বাড়ছে।
বেশিরভাগ মানুষেরই ভুল ধারণা আছে, হৃদরোগ শুধু মধ্যবয়সী বা বয়ষ্কদের মধ্যেই দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতিক অনেক ঘটনা প্রমাণ করছে যে, শুধু বয়স্করা নয় বরং কমবয়সীরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বেশিরভাগ মানুষই হৃদরোগের আগাম কিছু লক্ষণ অবহেলা করেন। জেনে নিন তেমনই কিছু লক্ষণ, যেগুলো সাধারণ নয়। এসব লক্ষণ হৃদরোগসহ স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়-
Advertisement
অনিদ্রা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া
অতিরিক্ত নাক ডাকার কারণ হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া। এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। অন্যদিকে রক্তনালি ও হৃদপিণ্ড রক্ত প্রবাহ অব্যাহত রাখতে কঠোর পরিশ্রমের চেষ্টা করে।
এটি উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাভাবিক হার্টের ছন্দ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বাড়ায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
হলদে ফুসকুড়ি
Advertisement
শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে হাত-পায়ের আঙুলের চারপাশে ও শরীরের নীচের অংশের ত্বকে হলদে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
রক্তে ক্ষতিকর চর্বি বেড়ে যাওয়ার কারণে ধমনী সরু হয়ে যায়। যা পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে ফেলে।
হাতের শক্তি
আপনার হাতের শক্তিও কিন্তু হৃদয়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানায়। গবেষণা দেখা গেছে, কোনো কিছু শক্তভাবে চেপে ধরার ক্ষমতা হৃদরোগের কম ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত।
আর যদি কোনো বস্তুকে ধরা কঠিন হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার গ্রিপ শক্তি কম, যা হৃদরোগের পূর্বাভাস দেয়।
নখের নিচে কালো দাগ
যদি হঠাৎ করেই আপনার হাত-পায়ের আঙুলে আঘাত না লাগা সত্ত্বেও কালো দাগ দেখেন তাহলে সতর্ক হতে হবে। নখের নিচের কালো দাগ বা বিন্দু হৃদপিণ্ড বা ভালভের সংক্রমণ নির্দেশ করতে পারে, যাকে বলা হয় এন্ডোকার্ডাইটিস।
ডায়াবেটিস থাকলে নখের নিচে কালচে রক্তের দাগ দেখা দিতে পারে। এ লক্ষণ যাদের মধ্যে দেখা দেয়, তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ২-৪ গুণ গুণ বেশি।
মাথা ঘোরা
কোনো কারণ ছাড়া প্রায়ই মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প না করার ফলাফল। মাথা ঘোরার লক্ষণকে অ্যারিথমিয়া বলা হয়।
হার্ট ফেইলিউর, মানে পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে মাথা ঘুরতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশিরভাগ মানুষই মাথা ঘোরার লক্ষণ অনুভব করেন।
সূত্র: ওয়েব এমডি
জেএমএস/এমএস