হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে থাকে। তবে হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। প্রায়ই বুকে ব্যথা, শরীরে ক্লান্তি, হাত নাড়াতে সমস্যা, শ্বাসকষ্টসহ নানা লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের আগ থেকেই শরীরে দেখা দেয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই এসব লক্ষণকে সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যান।
Advertisement
ঠিক একইভাবে হার্ট অ্যাটাকের আগাম ইঙ্গিত দেয় প্রতিদিনের মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি। আপনি দিনে কতবার মলত্যাগ করছেন বা টয়লেটে যাচ্ছেন এর থেকেও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগাম ইঙ্গিত পেতে পারেন। এমনটিই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
গবেষকরা মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি ও পাচনতন্ত্রের বাইরে প্রধান ভাস্কুলার ও নন-ভাস্কুলার রোগের সম্পর্ক পরীক্ষা করেছেন। গবেষকরা ৩০-৭৯ বছর বয়সী ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৮ জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন।
এসব তথ্য তারা চায়না কাদুরি বায়োব্যাঙ্ক থেকে সংগ্রহ করেন। যেখানে ২০০৪-২০০৮ সাল অর্থাৎ ৪ বছর ধরে চীনের মোট ১০টি ভৌগলিক অঞ্চলের অংশগ্রহণকারীদের নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
Advertisement
গবেষকরা পরীক্ষা করে যা দেখলেন
গবেষকরা দেখেছেন, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘দিনে একবার’ যারা মলত্যাগ করেছেন তাদের তুলনায় যারা ‘দিনে একবারের বেশি’ মলত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ (যাকে করোনারি হার্ট ডিজিজও বলা হয়) হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল।
করোনারি হার্ট ডিজিজ প্রায়ই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বসূরি। হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকির পাশাপাশি, এই মলত্যাগের প্রবণতা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী জটিলতাও বাড়ায় যেমন- হার্ট ফেইলিউর, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ।
গবেষকরা দেখেছেন, সর্বনিম্ন মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি (সপ্তাহে তিনবারের কম) ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, ইস্কেমিক স্ট্রোক ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
Advertisement
এছাড়া গবেষণায় আরও দেখা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্তদের বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রবণতা থাকে বেশি। যদিও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আরও কারণ আছে যেমন- তরল গ্রহণ কম হওয়া, চলাফেরার ক্ষমতা কমে যাওয়া যেমন হাঁটাহাঁটি না করা, ফাইবারজাতীয় খাবা কম খাওয়া ইত্যাদি।
হার্ট অ্যাটাকের তাৎক্ষণিক লক্ষণ কী কী?
প্রত্যেকেরই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত, যাতে লক্ষণগুলো অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসা নিতে পারেন। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ) অনুসারে হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো-
>> বুক ব্যথা>> শ্বাসকষ্ট>> শরীরে হঠাৎ ব্যথা অনুভব করা>> অজ্ঞান হওয়া ও>> বমি বমি ভাব
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম