দেশব্যাপী মহাসমারোহে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’। এলিট ফোর্স ব্যাটালিয়ন র্যাবের সুন্দরবনে দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
Advertisement
র্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি প্রযোজিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ পরিচালনা করেছেন দীপংকর দীপন। এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে ও যারা চলচ্চিত্রটি দেখছেন তারাও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।
‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম সবসময় সুন্দরবনের প্রকৃতি ও প্রাণী রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম আজ (সোমবার) রাজধানীর চিত্রামহল, মধুমিতা ও লায়ন সিনেমা হলে ‘সুন্দরবনের বাঘ এলো সিনেমা ভ্রমণে’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
এ ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে ধোলাইপাড় রোডের চিত্রা সিনেমা হল থেকে। এছাড়া প্রতিটি সিনেমা হলে একটি করে টাইগার বুথ থাকবে যেখানে সোনা, রুপা এবং হিরা নামে তিনটি বাঘ থাকবে। এই তিনটি বাঘ দর্শকদের স্বাগত জানাবে।
Advertisement
শিশু-কিশোররা বাঘের প্রতি আকৃষ্ট হবে, তারা এসে বাঘের সঙ্গে ছবি তুলবে ও সেই ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’র অফিসিয়াল পেজে পাঠালে পেজ থেকে সেই ছবি প্রকাশ করা হবে। এভাবে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ, প্রকৃতি এবং প্রাণী সম্পর্কে আগ্রহ বাড়বে এবং এদের সংরক্ষণের মানসিকতা বাড়বে।
চিত্রনায়ক সিয়াম সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, সুন্দরবনের বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে। সুন্দরবন বাঁচলে আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল রক্ষা পাবে, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
চিত্রনায়ক জিয়াউল হোসেন রোশন বলেন, ছবিটির শুটিংয়ের সময় সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং প্রাণীর প্রতি অসীম ভালবাসা রয়েছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
পরিচালক দীপংকর দীপন বলেন, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন পশু-পাখিকে দেখানো হয়েছে, এসব প্রাণির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য। সুন্দরবনের বাঘ, পশু-পাখি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দরবনেই মানানসই। প্রাণিগুলোকে যেন সেখানে সযত্নে থাকতে দেওয়া হয়। সুন্দরবনে বাঘের পরিবেশ রক্ষার জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি আহ্বান জানান। পাশাপাশি সুন্দরবনের বাঘ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ ক্যাম্পেইনটি চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে আমরা সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাধারণ মানুষকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। পাশাপাশি এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সুন্দরবন অনাদিকাল হতে যে ভূমিকা রেখেছে তা পুনরায় সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছি।
এই সিনেমাতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সিয়াম, রোশান, নুসরাত ফারিয়া, দর্শনা বণিক, শতাব্দী ওয়াদুদ, মনির খান শিমুল, তাসকিন রহমান, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।
এমআই/আরএডি/জিকেএস