দেশজুড়ে

কিশোরকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেফতার

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় মো. সাজ্জাদ (১৩) নামে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত মো. আলমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত মাঝরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কিশোরকে সুপারি গাছে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে সে মারা যায়।

Advertisement

হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. সাজ্জাদ ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সাত ঝুলাকাটা গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে। এছাড়া গ্রেফতার আলম পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী এলাকার আব্দুস সালাম প্রকাশ টুইল্যার ছেলে।

নিহত কিশোরের বাবা নুরুল হুদা বলেন, আমার ছেলে সাজ্জাদ ও আবুল কাশেম টুইল্যার ছেলে নুরুল আজিম পরস্পর বন্ধু। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে দোকানে খেলতে গিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় আবদুস সালাম আমার ছেলেকে মারার জন্য খুঁজতে থাকলে আমি ছেলের হয়ে ক্ষমা চাই। এরপরও শনিবার বিকেলে আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন সাজ্জাদকে ধরে পাশের পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে সাজ্জাদ মারা গেছে ভেবে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সাজ্জাদকে উদ্ধার করে বাড়িতে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় তাকে ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ছেলে হত্যার অভিযোগে সাজ্জাদের বাবা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় মামলা করেছেন। এরপর রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আলমকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এমআরআর/জিকেএস