মতামত

শেখ হাসিনার শান্তি প্রচেষ্টা

‘যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই; মানবকল্যাণ চাই। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি চাই’ ২৩ সেপ্টেম্বর (২০২২) শুক্রবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে এভাবেই বিশ্বশান্তির প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হলো সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান। আর শান্তি ও স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

Advertisement

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সব মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়; মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।’ লেখাবাহুল্য, গোটা মানবজাতিকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে বৈশ্বিক শান্তির জন্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সব ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ-সংঘাত এবং নিষেধাজ্ঞা বন্ধেরও ডাক দেন তিনি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া শেখ হাসিনার ১৯তম ভাষণের গুরুত্ব অনেক। এ মাসের ২৮ তারিখ তাঁর ৭৬তম জন্মদিন। মানুষের বেঁচে থাকার মাপকাঠিতে তিনি এখন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি। ফলে তাঁর বক্তব্য বিশ্বমানবের কল্যাণের পথ তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাঁর প্রজ্ঞা নিঃসৃত বাণী শান্তির বারতায় মানবের অগ্রযাত্রায় চিরায়ত হয়ে থাকবে। কেবল কথায় নয় কাজেও তিনি অনন্য।

আসলে তাঁর শান্তি প্রচেষ্টার নানান কথা, মানবতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান দেখেছি আমরা। কয়েক বছর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কের নাম প্রকাশিত হতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম আসাটা প্রত্যাশিত ছিল অবশ্যই। কারণ শান্তিপ্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখার জন্য ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Advertisement

২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর তিনি ভারতের ‘টেগর শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছেন। এর আগে বিশ্ব শান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও এ পুরস্কারে ভূষিত হন। কেবল এটির জন্য নয় শেখ হাসিনা অনেক আগে থেকেই শান্তির অগ্রদূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এক রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ইউনেস্কো থেকে ১৯৯৮ সালে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ থেকে ১৯৯৮ সালে মাদার তেরেসা পুরস্কার পান। ‘মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক ১৯৯৮ সালে এম কে গান্ধী পুরস্কার গ্রহণ করেন।

অহিংস আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ২০১২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডক্টর অব লিটারেচার বা ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। অন্যদিকে নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ইউনেস্কো ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কার দেওয়া হয়। শান্তি প্রচেষ্টায় মানবিকতা তাৎপর্যবহ। এজন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে দায়িত্বশীল নীতি ও মানবিকতার জন্য আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ গ্রহণ করেন। চল্লিশের ঊর্ধ্বে পদক জয়ী শেখ হাসিনা এখন কেবল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হতে বাকি আছেন।

অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন নোবেল পুরস্কার নয়, বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসাকেই বড় মনে করেন তিনি। শান্তিতে নোবেল পাওয়া তাঁর কাছে কোনো বিষয় নয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও তারা যতদিন থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ ততদিন তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করবে- বলা হয়েছে।

২০১৯ সালের আগে ২০১৮ এবং ২০১৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন তিনি। সেসময় রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ‘শেখ হাসিনারই প্রাপ্য’ বলে মন্তব্য করেন বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। কারণ শেখ হাসিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছেন। তাঁর এ কর্মের পরিধি অনেক আগেই বিস্তৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

Advertisement

মিয়ানমার থেকে ধেয়ে আসা ১১ লক্ষাধিক রাখাইন মুসলিমকে এদেশে আশ্রয় এবং শরণার্থী সমস্যাকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার মধ্য দিয়ে নিজের নেতৃত্বকে আরও মহিমান্বিত করেছেন তিনি। মানবতার জন্য এমন নিবেদিতপ্রাণ মানুষেরই নোবেল পাওয়ার কথা। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং আর্ত-পীড়িতদের মধ্যে স্বস্তি সঞ্চারে যে দক্ষতাপূর্ণ নেতৃত্ব প্রদর্শন করে চলেছেন শেখ হাসিনা, তার যথাযথ মূল্যায়ন করা হলে শান্তিতে তাঁরই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য।

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের মধ্যে জাতিসংঘে অনলাইনে যুক্ত অধিবেশনেও মধ্যমণি ছিলেন শেখ হাসিনা। ২৬ সেপ্টেম্বর (২০২০) মহামারি দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর বিচক্ষণতাপূর্ণ ভাষণ সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। ২৩ তারিখেও (২০২২) তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারিকে খুব ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এবং মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।’

আসলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত হিসেবে আজ বিশ্ব নেতাদের কাছে মহিমান্বিত একটি নাম। শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনের ভাষণে বলেছিলেন, ‘স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই আমরা শান্তিকেন্দ্রিক অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চলেছি। এ উপলব্ধি থেকেই সাধারণ পরিষদে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক প্রস্তাব পেশ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’

অর্থাৎ শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা বিশ্বসভার অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সাধারণ মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। শান্তি ও মানবতার এই দিশারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি। বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন; সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন ও বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছেন; তাঁর সেই আদর্শিক ধারায় স্নাত হয়ে শেখ হাসিনা মেধা ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে জনগণের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। জননেত্রীর নেতৃত্বে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতি অসামান্য।

১৯০১ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবিক কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ভয়ানক কিছু উল্টো ব্যাপার। বেশ কিছু ব্যক্তিকে প্রায় অশান্তি আর রাজনীতি করার জন্যই নোবেল দেওয়া হয়েছিল মনে করা হয়। আবার সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার পর শান্তিতে নোবেল পেয়ে নিজের জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন অনেকেই। কিন্তু বিশ্বজুড়ে মানবসৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন এরকম দৃষ্টান্তও রয়েছে। যেমন- সেই ব্যর্থতা আমরা স্পষ্ট দেখছি মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে গণতন্ত্রের নেত্রী অং সান সু চির আচরণে। তিনি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থি রাখাইনদের চলমান সহিংসতায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজারো বাড়িঘর। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি মানুষ। অথচ মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি রোহিঙ্গাদের রক্ষায় নিশ্চুপ। বর্তমানে জেলে বন্দি সু চির ওই ভূমিকায় তাঁর সমালোচনা যাঁরা করেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুও। তিনি ১৯৮৪ সালে শান্তিতে নোবেল পান।

অন্যদিকে ২০০৬ সালে প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে; বাংলাদেশে একটা কন্ট্রোল সরকার বসানোর জন্য। যাতে বঙ্গোপসাগরে একটা আমেরিকান নেভাল বেইজ করা যায়। এজন্য তিনিও নিশ্চুপ এখনও। আর দেশের ভেতর ২০১৪-১৫ সাল জুড়ে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রলবোমার নাশকতার বিরুদ্ধে তাঁকে কিছু বলতে শোনা যায়নি।

২০০৯ সালে বারাক ওবামাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার ঘটনাও সমালোচিত হয়। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ না করেও এভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন একাধিকজন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েও যাঁরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে না পেরে সমালোচিত হয়েছেন তাঁদের অন্যতম ইসরায়েলি নেতা মেনাচেম বেগিন। ১৯৮২ সালে লেবাননে আগ্রাসন চালানোর নির্দেশ দেন। এর মাত্র চার বছর আগেই ক্যাম্প ডেভিড শান্তিচুক্তি সই করে মিশরের আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল ভাগাভাগি করে নেন তিনি। ১৯৮১ সালে ইসলামপন্থি এক সেনাসদস্যের হাতে খুন হন সাদাত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার উত্তর ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে নোবেল পান ১৯৭৩ সালে। যে প্রচেষ্টার জন্য তাঁরা এই পুরস্কার পান, সেটা ভিয়েতনাম যুদ্ধ অবসানে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। থো এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।

তাঁর অভিযোগ ছিল, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এভাবে তালিকা ও বর্ণনা দিয়ে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের অবদানের চুলচেড়া বিশ্লেষণ করা যায়। কিন্তু শেষ করলে যা দাঁড়াবে তা হলো শেখ হাসিনা কখনো পুরস্কার পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করেন না। তিনি জনগণের নেত্রী হিসেবে, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সাহসের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন; মানুষের ভালোবাসাই তাঁর বড় অর্জন।

মানবতার দিক থেকে শেখ হাসিনা একজন আদর্শ বাঙালি রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কন্যা এবং আবহমান কাল ধরে চলে আসা বাঙালি নারীর আদর্শ প্রতিমূর্তি। দেশ ও বিশ্বের যে কোনো সংকটে তাঁর নেতৃত্ব দলমত নির্বিশেষ সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য।

সেখানে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। বাঙালি এক নারী পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে দুঃসহ স্মৃতির রক্তক্ষরণকে জয় করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন; লড়াই করছেন শুধু গণতন্ত্রের জন্যই নয়, সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেই তাঁর সেই সংগ্রাম শান্তি ও মানবতার জন্য। এজন্য শান্তিতে নোবেল পাওয়ার বিষয়টি তাঁর কাছে তুচ্ছ। তিনি ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’।

২৩ সেপ্টেম্বর (২০২২) জাতিসংঘে দেওয়া তাঁর আরও দুটি প্রত্যয়ী প্রত্যাশাময় বাক্য হলো- ‘আমরা দেখতে চাই, একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব যেখানে থাকবে বর্ধিত সহযোগিতা, সংহতি, পারস্পরিক সমৃদ্ধি এবং ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টা। আমাদের একটি মাত্র পৃথিবী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই গ্রহকে আরও সুন্দর করে রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।’

লেখক: বঙ্গবন্ধু গবেষক, অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।drmiltonbiswas1971@gmail.com

এইচআর/ফারুক/জেআইএম