এ সাম্রাজ্য একেবারেই কাল্পনিক। তবুও তার চোখ ধাঁধাঁনো স্থাপত্য দেখা যাবে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরায়। সাড়া জাগানো ছবি বাহুবলী’র মাহিষ্মতী সাম্রাজ্যের আদলে নির্মিত এ প্যান্ডেল ঘুরে উপভোগ করা যাবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
Advertisement
পূজার আড়াই মাস আগে থেকেই চলছে এ সাম্রাজ্য তৈরির কাজ। জ্যৈষ্ঠপুরা মৈত্রী সংঘ ও দেবেন পাঠাগারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন।
আয়োজকরা জানান, সপ্তাহব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর এ দুর্গোৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে চমকপ্রদ সব অনুষ্ঠান। ৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠ, ‘মৈত্রী’ স্মরণিকা মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতি নৃত্যনাট্য ‘মাতৃ আরাধনা’, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, সংবর্ধনা, সুবর্ণ জয়ন্তীর পুনর্মিলনী ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। পূজা প্যান্ডেলের মূল প্রবেশ পথে পৌঁছানোর আগে দেখা যাবে বাংলার প্রকৃতি ও সচেতনতা মূলক চিত্রায়ণ।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আশীষ চৌধুরী বলেন, আয়োজনের প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংগঠনকে যারা মেধা ও শ্রম দিয়ে এতো দূর নিয়ে এসেছেন তাদের স্মরণীয় করে রাখতে নবীন-প্রবীণ সবার যে সহযোগিতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্গোৎসবে প্রতিদিনের আয়োজনে অভিনবত্ব আনা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রতিমা ও মণ্ডপের বার্তা রয়েছে সচেতনতামূলক। প্রতিমা তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পী মঙ্গল পাল। মাহিষ্মতী সাম্রাজ্যের প্যান্ডেল তৈরি করেছেন শিমুল চৌধুরী। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন গৌতম চক্রবর্ত্তী ও নয়ন চক্রবর্ত্তী।
পুজো কমিটির সম্পাদক ছোটন কুমার দে বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী ও দুর্গোৎসব উদযাপনের বাজেট ৩০ লাখ টাকা। এ আয়োজন আনন্দময় করে রাখবে প্রতিটি মুহূর্ত।
ইকবাল হোসেন/এমআইএইচ/এএসএম
Advertisement