লক্ষীপুরে টহলরত পুলিশের ধাওয়ার পাঁচদিন পর ডোবা থেকে পাওয়া গেছে মো. রাসেল (২৬) নামে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার দেবনগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।রাসেল উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে ও স্থানীয় ভোলাকোট ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।পরিবারের দেয়া তথ্য অনুসারে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দেবনগর ও ভোলাকোট গ্রামে টহলের সময় পুলিশ দেখে রাসেল মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড় দেয়। পুলিশও তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনার পর থেকে রাসেল নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পায়নি। রাসেলের মা ফাতেমা বেগম গত রোববার রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভোলাকোট ইউনিয়নের বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন জুয়েলের অনুসারি ছিলেন নিহত রাসেল। রাজনৈতিক পরিচয়ে রাসেল এলাকায় মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তাদের অভিযোগ। তবে কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে সেটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।এ ব্যাপারে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে টহলের সময় একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করলে চালক তা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমরা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় এনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পরে জানা গেছে, উদ্ধার করা মোটরসাইকেলটি রাসেলের।এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোলায়মান চৌধুরী বলেন, শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ দুই-এক দিন আগে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তার পকেটে কিছু টাকা ও ৬টি ইয়াবা পাওয়া গেছে।উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমরান হোসেন এমু বলেন, নিহত রাছেল ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে তা আমরা নিশ্চিত নয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করছি।কাজল কায়েস/এফএ/এমএএস/পিআর
Advertisement