হিমালয়ের 'দোগারি হিমাল' নামক পর্বতশৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে যৌথভাবে অভিযানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের আট সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এ অভিযানে দুবার এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী এম এ মুহিতের নেতৃত্বে আরও তিনজন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
Advertisement
বাংলাদেশ-নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভিন্নধর্মী এ আয়োজন। যৌথ এ অভিযানে বাংলাদেশ থেকে চারজন ও নেপাল থেকেও চার পর্বতারোহী অংশ নেবেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেস্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হকের সঞ্চালনায় এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
Advertisement
বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিযানের পৃষ্ঠপোষক ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (টি-মার্কেটিং) ওমর হান্নান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক ফজল মাহমুদ রনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দোগারি হিমাল পর্বতশৃঙ্গ ২১ হাজার ৪৪৩ ফুট উঁচু। এটির চূড়ায় এখন পর্যন্ত কেউ পৌঁছাতে পারেনি।
এম এ মুহিত ছাড়াও বাংলাদেশি দলের অপর তিন সদস্য হলেন- বাহলুল মজনু, ইকরামুল হাসান ও রিয়াসাদ সানভী।
বাহলুল মজনু ও ইকরামুল হাসান একটি সাত হাজার মিটার উঁচু চূড়াসহ হিমালয়ের একাধিক পর্বত আরোহণ করেছেন। রিয়াসাদ সানভী ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেপালে পর্বতারোহণে অংশ নিয়েছেন।
Advertisement
চার সদস্যের নেপাল দলের নেতৃত্বে থাকবেন বিখ্যাত পর্বতারোহী ও গাইড মিংমা গ্যালজে শেরপা।
বাংলাদেশের পর্বতারোহী দলের তিন সদস্য আগামী ৩ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। ইকরামুল হাসান ‘গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে’ চলমান অভিযান শেষে কাঠমান্ডুতে মুহিতদের সঙ্গে যোগ দেবেন।
এ সময় এম এ মুহিত বলেন, আমরা যে অভিযানে যাচ্ছি, তার পরিকল্পনা করছিলাম গত বছর থেকে। শৃঙ্গটিতে এর আর আগে কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
‘আমাদের অভিযানের মাধ্যমে মানুষ এ র্পবত সর্ম্পকে জানতে পারবে। আশা করি, দুই দেশের সম্মিলিত অভিযানে ২৮ দিনেই দোগারি হিমাল শিখর জয় করা সম্ভব হবে।’
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, মুহিত ও তার দলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ অভিযানের মাধ্যমে শুধু দুই দেশের সর্ম্পক এগিয়ে যাবে তা নয়। সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ভাষাগত সংযোগও আরও দৃঢ় হবে।
তিনি আরও বলেন, নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত অনেক মিল রয়েছে। তাছাড়া দুটি দেশই পর্যটন সমৃদ্ধ। পর্যটনখাতে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাবো।
ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, উদযাপন তো অনকেভাবেই হয়। তবে বাংলাদশ-নেপাল বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনের দারুন একটি আয়োজন এটি। এ পতাকা যখন দোগারি হিমালের চূড়ায় উড়বে, তখন আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক আরও মজবুত হবে।
অভিযানটি যৌথভাবে পরিকল্পনা করেছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও ইমাজিন নেপাল। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ইস্পাহানি টি লিমিটেড, স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২৫% ছাড়ে অভিযাত্রীদের ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা টিকিট দিয়েছে।
এমআইএস/এসএএইচ