অবসরের পর লেখা রায় ও আদেশের ৬৫টি মামলা সংশ্লিষ্ট ফাইল আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের মাজার গেটের বাইরে বটগাছের নিচে প্রেস বিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। তিনি জানান, অবসরে যাওয়ার পর তার লেখা রায় ও আদেশের ৬৫টি মামলার ফাইল বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর কাছে জমা দিয়েছেন তিনি। তবে সোমবার হাইকোর্টের মাজার গেইটের বাইরে বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজকে দুপুর দেড়টায় আমার সিনিয়র নেক্সট বিচারপতি ইমান আলী সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী ফাইলগুলো তার কাছে যাবে। ওনার পরে আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা সই করবেন। ওনার সাথে আমি আলাপ করেছি। তিনি এটা (রায় এবং আদেশের কপি) গ্রহণ করবেন। এখনি আমি এসব নিয়ে যাচ্ছি তার কাছে জমা দেয়ার জন্য।কতটি মামলার নথি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬টি মামলার রায় এবং ৭৫টির মতো আদেশ আমার কাছে রয়েছে। আজ সবগুলো মামলা রায় এবং আদেশে জমা না দিলেও কয়েক দিনের মধ্যে তা জমা দিয়ে দেব।আরও কিছু মামলার ফাইল তার কাছে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দু’-চার দিনের মধ্যে এগুলোও জমা দিয়ে দেব। চার মাস আগে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরের পর তার লেখা রায় গ্রহণ করতে ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন এবং চিঠির বিষয় নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিচারপতি মানিকের সংবাদ সম্মেলন ‘নজিরবিহীন’ অ্যাখায়িত করেন এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলে দ্রুত রায়ের ফাইল জমা দেবেন। এর সূত্র ধরে সোমবার সকালে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি ছাড়া কোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলন নিষিদ্ধ করা হয়। সোমবার দুপুরের পর সুপ্রিমকোর্টের বাইরে আবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিচারপতি মানিক।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি যে সকল মামলা পরিচালনা করেছি, সে সকল মামলার রায় ও আদেশের কপি জমা দিবো। তবে মামলার নথিপত্র জমা দিবো না।’ অবশেষে সোমবার বিকেলে বিচারপতি মানিক অবসরে যাওয়ার পর তার লেখা রায় ও আদেশের ৬৫টি মামলার ফাইল জমা দেন। এফএইচ/এসকেডি/পিআর
Advertisement