অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পাকিস্তানকে দুর্বৃত্তের দেশ আখ্যায়িত করে বলেছেন, তাদের কাছে যে আমাদের সম্পদ আছে, পাওনা আছে সেটা তারা স্বীকারই করে না। আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে তাদের যে মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন, সেই অবস্থা ওই দুর্বৃত্ত দেশের সম্ভব হবে কি না তার ভবিষ্যত বলা কঠিন। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় একজন আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি কোন দেশের পক্ষেই কাজ করেননি। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এরপর যখন তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়, তখন থেকেই আমরা (পাওনা আদায়ে) চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা স্বীকারই করে না, যে আমাদের সাথে তাদের দেনা-পাওনার হিসাব রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময় (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুরফিকার আলী) ভুট্টো সাহেব বাংলাদেশে আসলে তাকে জোড়ালো ভাবে এ বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তখন আমি ডেলিগেট ছিলাম। তখন দেখেছি ভুট্টো কোনো কথা বলেননি। পরবর্তীতে ওআইসি আমাদের দেনা-পাওনার বিষয়ে আলোচনা করতে সহযোগিতা করেছে। আমাদের চেষ্টা সব সময়ই আছে, তবে আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে মানসিকতার যে পরিবর্তন দরকার, সেই মানসিকতা ওই দুর্বৃত্ত দেশের হবে কি না বলা কঠিন। অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কোন সোনা-দানা ছিল না। কোন সম্পদ ছিল না। আমাদের ব্যাংকটি ছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা। তখন আইএমএফের সদস্য হতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সোনা না থাকলে তারা সদস্য করে না। তখন কানাডা আমাদের ২.৫ মিলিয়ন ডলারের সোনা দিয়ে সহযোগিতা করেছিল।দেশে করদাতার সংখ্যা ১৮ লাখ, সরকার সুদের হার নির্ধারণ করে নাসুদের হার কমানোর বিষয়ে একাধিক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদকে জানিয়েছেন, সরকরার সুদের হার নির্ধারণ করে না। সুদের হার নির্ধারণ করে বাজার বা ব্যবসায়ীরা। আমরা যেটা করতে পারি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পুনঃনির্ধারণ করতে পারি। অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে ইনসেটিভ দেওয়ার পর কিছু কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা সামান্য সুদ নির্ধারণ করে দিয়েছি, যার সর্বোচ্চ হার ৪ শতাংশের বেশি নয়। আলাদাভাবে কৃষি খাতের সুদ কামনো সম্ভব নয়। তবে ব্যাংকিংখাতসহ অন্যান্য খাতে সুদের হার কমলে কৃষিখাতের সুদের হারও কমে আসবে। তিনি আরো জানান, সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। দেশে করদাতার সংখ্যা ১৮ লাখ।এইচএস/এসএইচএস/পিআর
Advertisement