এক পায়ে দাঁড়ানোর মাধ্যমে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক আছে কি না তা আপনি সহজেই পরীক্ষা করতে পারবেন।
Advertisement
যদি ১০ সেকেন্ডের বেশি আপনি এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন তাহলে বুঝবেন শারীরিকভাবে আপনি ফিট। আর যদি না পারেন তাহলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়াতে না পারা মৃত্যুঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত। এক হাজার ৭০২ জনের উপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষকরা জানান, এমনিতেই ৫০ বছরের পর থেকে শরীরের ভারসাম্য কমতে শুরু করে। ফলে পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
Advertisement
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একটি সমতল প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। তাদের স্থির ভারসাম্য পরিমাপ করা হয়েছিল এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়ানোর মাধ্যমে।
অংশগ্রহণকারীকে ইচ্ছেমতো বাম বা ডান পায়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। পড়ে যাওয়া বা আঘাত প্রতিরোধের জন্য চিকিত্সক বা নার্স সহকারী তাদের পাশে ছিলেন।
অংশগ্রহণকারীরা দাঁড়ানোর সময় তাদের কনুই প্রসারিত রেখেছিলেন ও তাদের দৃষ্টি ছিল ২ মিটার দূরত্বের এক বিন্দুতে।
গবেষণায় কী পাওয়া গেছে?
Advertisement
গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ সেকেন্ড এক পায়ে যারা দাঁড়াতে পারেননি তাদের মধ্যে বয়স্করাই বেশি। ৫১-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে ৪.৭ শতাংশ জন কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ৭১-৭৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৫০ শতাংশ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সী ও বয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম ও সর্বজনীন মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৪ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারায় আকস্মিক পড়ার কারণে মারা যায়। যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি নিম্ন/মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, ৬০ বছরের বেশি বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, পতনজনিত মৃত্যুর ৮০ শতাংশেরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে।
যেখানে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে এই মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ।
যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনের ক্রিয়াকলাপের উপর অনেকটাই নির্ভর করে শারীরিক ভারসাম্য ধরে রাখার বিষয়টি। ব্যায়াম হস্তক্ষেপ ভারসাম্য উন্নত করতে পারে বলছেন গবেষকরা।
এমনকি হু বয়স্কদের ভারসাম্য উন্নত করার জন্য কার্যকরী প্রশিক্ষণ, তাই চি’র মতো ভারসাম্য অনুশীলনের সুপারিশ করে।
এগুলো ছাড়াও শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে ও এর সঙ্গে যুক্ত মৃত্যু কমাতে হোম অ্যাসেসমেন্ট, সাইকোট্রপিক ওষুধ প্রত্যাহার, বয়স্কদের জন্য ভিটামিন ডি সম্পূরক অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস