দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ, আটক ২৫

মুন্সিগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিএনপির ২৫ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন নেতারা।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, অনুমতি ছাড়া সমাবেশে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ৮-১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে, সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতারা অনেকটা আত্মগোপনে চলে গেছেন। বুধবার সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাকে জেলা কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। মূলত গ্রেফতার এড়াতেই মাঠে নেই তারা বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।

সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জ শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। সকাল থেকে কার্যালয় খোলা হয়নি বলে জানান আশপাশের ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, সংঘর্ষের পর থেকে পুলিশ অনেককে আটক করছে। মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই গ্রেফতার এড়াতেই নেতারা যে যার মতো আশপাশে সরে আছেন।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয় মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এসময় আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বিএনপির অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহকালে আহত হন তিন সাংবাদিক।

এদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো বিএনপির তিন কর্মীর মধ্যে মুখে গুলিবিদ্ধ শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া সংঘর্ষে আহত ১০ পুলিশ ও তিন সাংবাদিকসহ বিএনপি কর্মীরা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

Advertisement

আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরআর/জেআইএম