আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে শাস্তি পেতে হবে : জেলেনস্কি

ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভেটো বাতিল করারও আহ্বান জানান তিনি। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আগে থেকে রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং আমরা এর ন্যায্য শাস্তি দাবি করছি।

জেলেনস্কি বলেন, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি পাঁচ-দফা পরিকল্পনা রয়েছে কিয়েভের। এর মধ্যে শুধু মস্কোকে তাদের আগ্রাসনের জন্য শাস্তি দেওয়া নয়, একই সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, আগ্রাসনের অপরাধের শাস্তি, সীমানা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত শাস্তি তাদের পেতেই হবে।

Advertisement

এদিকে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে প্রায় ৩০০ বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর মধ্যে ১০ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে দেশ দুটির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের ঘটনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিময়ের অংশ হিসেবে রাশিয়া ২১৫ ইউক্রেনীয়কে মুক্ত করেছে। এর মধ্যে পাঁচজন কমান্ডারও রয়েছে। তারা চলতি বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণের বন্দর শহর মারিউপোলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তাছাড়া রাশিয়া যে ১০ জন বিদেশিকে মুক্তি দিয়েছে তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মরক্কোর নাগরিক রয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেন ৫৫ জন রাশিয়ান, মস্কোপন্থি ইউক্রেনীয় ও ভিক্টর মেদভেদচুককে ফেরত পাঠিয়েছে। তিনি একটি নিষিদ্ধ রুশপন্থী দলের নেতা, যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মুখোমুখি ছিলেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই চুক্তিতে সাহায্য করেছে সৌদি আরব এবং তুরস্ক।

অপরদিকে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সৈন্য সমাবেশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশনার জেরে ইইউ মন্ত্রীরা বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত হন তারা।

Advertisement

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধকালীন সৈন্য সমাবেশে এটাই প্রথম পদক্ষেপ, যার ঘোষণা রুশ প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সেখানে অবস্থান করছেন।

টিটিএন