পাম অয়েলের দাম লিটারে ১২ টাকা ও চিনির দাম কেজিতে ছয় টাকা কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
Advertisement
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করে।
তবে সয়াবিন তেলের বর্তমান দাম বহাল রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ছয়মাসের বেশি সময় ধরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে। কমিশন প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৮ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
Advertisement
ট্যারিফ কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি পণ্যের যৌক্তিক বাজারদর কী হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, কৃষি বিপণন আইনে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ডিম ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এসব পণ্যসহ আরও বেশ কিছু পণ্যের যৌক্তিক বাজারদর নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। এ কারণে চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ডিমের দাম পর্যালোচনা না করে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম পর্যালোচনা করা হয়েছে।
কমিশনের ওই কর্মকর্তা জানান, রড ও সিমেন্টে অনেক ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার হয়। সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য পর্যালোচনায় কিছুটা সময় লাগছে। সামগ্রিকভাবে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পাম অয়েল ও চিনির দামের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ডিমের যৌক্তিক দর কী হওয়া উচিত, তা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিয়মিত করে থাকে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর রড ও সিমেন্টের দর পর্যালোচনার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এনএইচ/এএএইচ/জিকেএস