খেলাধুলা

ছাদখোলা বাসের খবর জানতেই স্বপ্না বললেন ‘হোক না নতুন কিছু’

সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়া জয় করে বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা মঙ্গলবার সকালে কাঠমান্ডু ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সকালের নাশতা শেষ করেই দলের সবাই বেড়িয়ে পড়েন শহরে। দুপুরের খাওয়ার আগেই ফিরে আসেন হোটেলে।

Advertisement

তবে পুরো দলের সঙ্গে ঘুরতে বাইরে যেতে পারেননি সিরাত জাহান স্বপ্না। পায়ের ব্যথা নিয়ে হোটেলেই ছিলেন অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড।

‘পরপর তিন ম্যাচে একই জায়গায় চোট পেয়েছি। যে কারণে পায়ের অবস্থা ভালো নয়। তাই সবার সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারিনি। আমি হোটেলেই ছিলাম। সবাই ঘুরতে গিয়েছিল, কেনাকাটা করেছে’- কাঠমান্ডু থেকে জাগো নিউজকে বলছিলেন সিরাত জাহান স্বপ্না।

সবাই বাইরে গেলে নিজে যেতে পারেননি বলে খারাপ লাগেনি স্বপ্নার, ‘ঘুরতে যেতে না পেরেছি, চ্যাম্পিয়ন তো হয়েছি। এত বড় অর্জনের পর ঘোরাটা না হলেই বা কী?’ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। ঘুরতে না বের হলেও দূতাবাসে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বপ্না।

Advertisement

বুধবার বিমান বন্দর থেকে নারী ফুটবল দলকে আনার জন্য তৈরি হচ্ছে ছাদখোলা বাস। ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এ বিষয়টি জানাতেই স্বপ্না বললেন, ‘দারুণ! হোক না নতুন কিছু।’

ফাইনালে স্বপ্না ব্যথা পেয়ে ১০ মিনিটে মাঠ ছেড়েছিলেন। তার পরিবর্তে খেলতে নেমে তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

এর আগে সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে ১২ মিনিটের সময় ব্যথা পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেছিলেন স্বপ্না। তিনি টুর্নামেন্টে মোট চারটি গোল করেছেন। দুটিই ভারতের বিপক্ষে।

আরআই/এসএএস/এএসএম

Advertisement