বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সাহসের সঙ্গে রাজপথে নেমেছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটি বিএনপির একার আন্দোলন নয়। এটি দেশকে বাঁচানোর আন্দোলন। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর মহাখালী গাউসুল আজম জামে মসজিদের পাশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে গুলশান, বনানী থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁশের লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা দেয়।
Advertisement
বিএনপির এ সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর ছিল। সমাবেশের আশপাশে আওয়ামী লীগের মিছিল দেখা না গেলেও গুলশান-১ চত্বর ও মহাখালী এলাকায় তারা অবস্থান নেন এবং মিছিল করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আমীর খসরু বলেন, দেশের প্রত্যেক গ্রামে-গঞ্জে, থানা-উপজেলা ও শহরে মানুষ নেমে গেছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না ঘটিয়ে তারা ঘরে ফিরবে না। তবে এই ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে আরেক ফ্যাসিসটকে নয়, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ আন্দোলন দেশের জনগণের আন্দোলন।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার কেউ বিশ্বাস করে না, এমন দাবি করে খসরু বলেন, এই সরকারের পায়ের তলায় দেশেও মাটি নেই, বিদেশেও নেই। তাই সব জায়গা থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল হাতে ও মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সবাই প্রস্তুত আছি। আন্দোলনের যুদ্ধের মাঠে সবার সঙ্গে আছি। এ কথা বলতেই আজ এখানে এসেছি। আহত করে দমিয়ে রাখা যাবে না। এখন আর কারও কাছে বিচার চাইব না, বিচার চেয়ে লাভ নেই। বিচার করবে দেশের জনগণ।
Advertisement
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, সরাফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমএইচআর/এএসএম