চীনের মেগাসিটি চেংদুতে জারি করা লকডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হলো এ সিদ্ধান্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের বড় শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম চেংদুর কর্তৃপক্ষ ২ কোটি ১০ লাখের মতো বাসিন্দার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
Advertisement
স্থানীয় সরকারের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, বাসিন্দাদের সপ্তাহে অন্তত একবার ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কিনা তার জন্য পরীক্ষা করা দরকার। এ ছাড়া জনসমাগমস্থল কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংদু, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর যেটিকে লকডাউনের আওতায় আনা হয় সম্প্রতি। চলতি বছরের শুরুতে সাংহাইয়ে লকডাউন জারি করা হয় দেশটির কোভিড জিরো কৌশলের অংশ হিসাবে। চেংদুতে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হলো জারি করা বিধিনিষেধ।
কমিউনিস্ট পার্টির এক দশকের দুইবার নেতৃত্বের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে লকডাউন তুলে নিলো কর্তৃপক্ষ। যদিও লকডাউনের কারণে মানুষের আর্থ-সামাজিক ব্যয় বেড়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেই সম্মেলনে তৃতীয় মেয়াদে আবারও পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নজির ভাঙবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চেংদুতে লকডাউন তুলে নেওয়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রেস্টুরেন্টগুলো আবারও চালু হচ্ছে। যদিও বহাল থাকবে শি জিনপিং সরকারের জিরো কোভিড কৌশল বা নীতি।
Advertisement
অন্যরা যখন কোভিডের সঙ্গেই বসবাস এমন নীতিতে চলছে তখন চীন জিরো কোভিড পলিসি মেনে চলার পক্ষে। তবে আগামী অক্টোবরে শি জিনপিং হয়তো এই নীতির ব্যাপারে নতুন করে ঘোষণা দিতে পারেন, এমন ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এ সপ্তাহে একটি প্রাণঘাতী বাস দুর্ঘটনা চীনের কোভিড দৃষ্টিভঙ্গি বৃহত্তর জনসাধারণের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে। যা মূলত ভাইরাসজনিত মৃত্যু প্রতিরোধের ব্যয় হিসাবে অভ্যন্তরীণভাবে দেখা হচ্ছে।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইঝো প্রদেশে করোনা মহামারির মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত একটি বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাসটি মূলত করোনা নিয়ন্ত্রণে কোয়ারেন্টাইনে আক্রান্তদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো।
Advertisement
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এসএনআর