আন্তর্জাতিক

চীনে ‘কোয়ারেন্টাইন বাস’ দুর্ঘটনার কবলে, নিহত ২৭

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইঝো প্রদেশে করোনা মহামারির মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত একটি বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাসটি মূলত করোনা নিয়ন্ত্রণে কোয়ারেন্টাইনে আক্রান্তদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে যে, ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাসটি প্রদেশের রাজধানী গুইয়াং-এ কোভিড কোয়ারেন্টাইনে রাখা লোকদের স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। গুইঝো ডেইলি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

Advertisement

চীনের কোভিড-জিরো কৌশলের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনা ও কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন ধরেই কোভিড রোধে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এসবের সমালোচনা করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

বাস দুর্ঘটনাটি ঘটলো কমিউনিস্ট পার্টির এক দশকের দুইবার নেতৃত্বের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে আবারও পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নজির ভাঙবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে কোভিড নীতির ক্ষেত্রে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন শিথিল করবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বেইজিং-ভিত্তিক কনসালটেন্সি ট্রিভিয়াম চায়নার শীর্ষ বিশ্লেষক অ্যান্ডি চেন বলেছেন, ‘সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য, কংগ্রেসের সামনে যে কোনো মূল্যে নেতৃত্ব এ ধরনের ঘটনা এড়াতে চায়’। তবে এমন ঘটনাও ঘটবে যে লোকেরা চলমান কোভিড-নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরোধিতা করবে’।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্ঘটনাটি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েবোতে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা হয়। যদিও দুর্ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

Advertisement

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাস পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েই গেছে।

তবে করোনা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটির কোভিড জিরো নীতির কারণে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলেও এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশটি। যদিও কোভিড জিরো নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে শি জিনপিং সরকার। এখনো লকডাউন জারি রয়েছে দেশটির কোনো কোনো শহরে। লকডাউন জারি থাকার কারণে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়ে রয়েছে বিধি নিষেধ।  

সূত্র: ব্লুমবার্গ

এসএনআর/এমএস