কোচ লুইস এনরিকের শততম ম্যাচে ক্লাব ইতিহাসের টানা অপরাজিত রেকর্ড গড়লো মেসি-নেইমার-সুয়ারেসরা। রোববার লেভান্তের মাঠে ২-০ গোলে জিতে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করেছে এনরিকের দল। এর আগে ২০১০-১১ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার অদম্য বার্সা এই রেকর্ডটি গড়েছিল। এখন গার্দিওলাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা এনরিকের। লেভান্তের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সা। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। বল জালেও জড়ান মেসি, কিন্তু রেফারির অফসাইডের বাঁশিতে বেঁচে যায় লেভান্তে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ইনিয়েন্তার থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দারুণ একটি পরীক্ষা নেন নেইমার। তবে সে দফায় লেভান্তেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক মারিনো। ম্যাচের ২১ মিনিটে মাশচেরানোর থেকে বল পেয়ে জর্ডি আলবার শট লেভান্তের নাভাররোর গায়ে লেগে নিজেদের জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বার্সা। আর ২৭ মিনিটে নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে সুয়ারেজ গোলমুখে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা মেসির দিকে বাড়াতে ব্যর্থ হলে আরেকদফা ব্যবধান বাড়ানো হয়নি বার্সার। এরপরই কয়েকটি আক্রমণ শানিয়ে ম্যাচের ফেরার আভাস দেয় স্বাগতিক লেভান্তে। শুরুটা হয় লেভান্তের মিডফিল্ডার রস্সিকে বক্সের সামান্য বাইরে বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের ফাউলের মধ্য দিয়ে। সুবিধাজনক স্থানে পাওয়া সেই ফ্রি-কিকটি কাজে নাগাতে না পারলেও পরের ৮ মিনিটে তিনবার বার্সা বিপদসীমায় ঢুকে পড়েছিল লেভান্তে। যদিও সুযোগগুলো গোলে রূপান্তর করতে পারেনি দলটি। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর দু`দলের খেলার গতিই খানিকটা কমে আসে। এসময় ৫৪ মিনিটে মেসি একবার প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নিলেও অফসাইডের খাড়ায় বাতিল হয়ে যায় তার গোলটি। ৬০ মিনিটে কর্নার শটে হেড করে বার্সাকে প্রায় এগিয়েই দিচ্ছিলেন রাকিটিচ। কিন্তু আবারো দেয়াল হয়ে দাঁড়ান লেভান্তে গোলরক্ষক।ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দুর্বল লক্ষ্যভ্রষ্ট ফ্রি-কিক নেন মেসি। ম্যাচের বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া এমএসএন ত্রয়ী বেশ কয়েকটি আক্রমণ গড়েও আর লেভান্তের জাল খুঁজে পাচ্ছিল না। কিন্তু যোগ করা সময়ে মেসির বানিয়ে দেওয়া বলে গোল করে এমএসএন ত্রয়ীর সেই আক্ষেপটা মেটান লুইস সুয়ারেজ।এ জয়ে ২২ ম্যাচ সর্বোচ্চ ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেও ফিরল বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিয়াল মাদ্রিদ।এমআর/এসএম
Advertisement