বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রিত থাকলেও গত কয়েক দিনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। করোনার অমিক্রন ধরনের নতুন দুটি উপধরনের কারণে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
Advertisement
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আইসিডিডিআর,বি’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
আইসিডিডিআর,বি জানায়, করোনা সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি নির্ণয়ে গত ২৩ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি ৩৮টি জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। এতে রাজধানী ঢাকায় অমিক্রনের দুটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকায় পরিচালিত জিনোম সিকোয়েন্সে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, শুধু অমিক্রন ভেরিয়েন্টগুলোর মাধ্যে ২৬টি অমিক্রন BA.5 এবং ১২টি অমিক্রন BA.2 পাওয়া গেছে।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে অমিক্রনের BA.5 সাব-ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। তবে গত তিন সপ্তাহে তা BA.5 থেকে BA.2-তে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা একটি বড় পরিবর্তন। একই সময়ে BA.2.75 (n=6) এবং BJ.1 (n=1) (যা মূলত BA.2 থেকে উৎপন্ন) নামে নতুন দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
Advertisement
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলোই দায়ী।
এদিকে একই চিত্র উঠে এসেছে ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভসের (আইডিইএসএইচআই) এক প্রতিবেদনে। তারা ঢাকা শহরে অমিক্রন BA.2.75 এবং BJ.1 উভয় উপধরন শনাক্ত করেছে।
অমিক্রনের এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো এ বছরের মে মাসে সর্বপ্রথম ভারতে শনাক্ত হয়। বর্তমানে BA.2.75 হলো ভারতে সবচেয়ে প্রভাবশালী সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এটিতে মূল অমিক্রন ভেরিয়েন্টের তুলনায় স্পাইক জিনের বেশি মিউটেশন রয়েছে।
করোনার নতুন রূপের আবির্ভাব নতুন নয় এবং ভাইরাস প্রাকৃতিক বিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য। এ অবস্থায় করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
Advertisement
এএএম/ইএ/জেআইএম