স্বাস্থ্য

খুলনায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ জব্দ

খুলনায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ জব্দ ও বেশ কয়েকটি ফার্মেসিকে জরিমানা করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। জেলা প্রশাসন ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৩ এর সহায়তায় খুলনার হেরাজ মার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের ছয়জন কর্মকর্তাসহ জেলার ওষুধ তত্ত্বাবধায়কও উপস্থিত ছিলেন।কর্মকর্তারা হলেন মো. আসরাফ হোসেন (সহকারী পরিচালক), মো. ইয়াহ্ইয়া (সহকারী পরিচালক), মো. আকিব হোসেন (সহকারী পরিচালক), মোহাম্মদ নাঈম গোলদার (সহকারী লাইসেন্সিং অফিসার), সৈকত কুমার কর (ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক), এটিএম গোলাম কিবরিয়া খান (ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক) এবং মাহমুদ হোসেন (খুলনা জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক)।অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন (সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমীন (খুলনা জেলা প্রশাসন) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল হক (খুলনা জেলা প্রশাসন)।হেরাজ মার্কেটে অবস্থিত ৭১টি ওষুধের দোকান তল্লাশি করে ১৬টি ওষুধের দোকানে নকল, ভেজাল, মিসব্রান্ডেড, ক্ষতিকর ও অনুমোদনবিহীন ওষুধ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে পেরাকটিন ট্যাবলেট (ক্ষুধা ও রুচিবর্ধক), আই-পিল ট্যাবলেট (গর্ভনিরোধক), বেটনোভেট-সি ক্রিম (অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্রিম), বেটনোভিট-এন ক্রিম (অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্রিম), ইটচ গার্ড ক্রিম (অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী ক্রিম), রিং গার্ড ক্রিম (অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্রিম), মুভ ক্রিম (ব্যথানাশক ও প্রদাহ), হলি মুনইশ ক্যাপসুল  (যৌন উত্তেজক), ভিটা-সি ট্যাবলেট (ফুড-সাপ্লিমেন্ট), সিভিটা-আই (ভিটামিন-সি), গাইনোকোসাইড (গর্ভপাত), কেনালগ (অ্যান্টি ফাঙ্গাল), নিউরোবিওন (ভিটামিন), টিটেনাস ভ্যাক্সিন, সেনেগ্রা (যৌন শক্তিবর্ধক), সুপার লায়ন পাওয়ার (যৌন শক্তিবর্ধক), ওরাভিট-সি (ভিটামিন-সি), পাওয়ার প্লাস (যৌন শক্তিবর্ধক), সেক্স ডিলে স্প্রে (যৌন শক্তিবর্ধক) উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কয়েকটি ওষুধের দোকানে কোয়ালিফাইড ব্যক্তি (ফার্মাসিস্ট) উপস্থিত পাওয়া যায় নাই।জব্দকৃত এসব নকল, ভেজাল, মিসব্রান্ডেড, ক্ষতিকর ও অনুমোদনবিহীন ওষুধের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এসব ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে মওজুদ ও সংরক্ষণ করা এবং কোয়ালিফাইড ব্যক্তির (ফার্মাসিস্ট) অনুপস্থিতিতে ওষুধ বিক্রি করার দায়ে মেসার্স রহমান ফার্মেসির মালিক মো. মোজাম্মেল হককে এক লাখ টাকা, কেয়া ফার্মেসির মালিক খান মাহতাব আহমেদকে দুই হাজার টাকা, ড্রাগ সাপ্লাইয়ের মালিক কামাল হোসেনকে দুই হাজার টাকা, শুভ ফার্মেসির মালিক মো. মহিদুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা, পিকিউএস ফার্মেসির মালিক মো. আইয়ূব আলীকে ২০ হাজার টাকা, হেলথ ক্লিনিকের মালিক মো. পিন্টুকে দুই হাজার টাকা, বাবুল ড্রাগ হাউজের মালিক সমীর চন্দ্র পালকে দুই হাজার টাকা, স্বদেশ মেডিকেল হলের মালিককে দুই হাজার টাকা, ভূইয়া মেডিকেল হলের মালিক মো. মাসুম ভূইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা, মেডিসিন প্লাসের মালিক এসএম বায়েজিদকে পাঁচ হাজার টাকা, নিউ দেশ মেডিকেল হলের মালিক হূমায়ন কবীর সরদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সাহা ফার্মেসির মালিক গোপাল সাহাকে পাঁচ হাজার টাকা, আল শফি ফার্মেসির মালিক মাসুদ আহমেদকে দুই হাজার টাকা, ওষুধ বিতানের মালিক মো. তসলিম উদ্দিনকে পাঁচ হাজার টাকা, সাথী মেডিসিন কর্নারের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা এবং রায় ফার্মেসির মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিএমইউ/বিএ

Advertisement