সাহিত্য

চিতাভস্মের সমাধিসৌধ এবং ঘুমহীন রাত্রি

আনিস ফারদীন

Advertisement

চিতাভস্মের সমাধিসৌধ

ক্রমশ ধেয়ে আসে অপরাহ্ণ কাল, অযাচিত প্ররোচনায়ধূলির অতল গহ্বরে লুটিয়ে পড়েআন্দোলিত সবুজ—জানালা কপাটহীন রাত্রি-দিনে পদ্ম পাতার জলের মতোনিশ্চিহ্ন হতে থাকি আমি আর-ভালোবাসার কোমল সাদাভ রজনীগন্ধা।

স্বপ্ন দগ্ধ হয় ভোরের পাখি, গোগ্রাসে গিলে নেয় দশ দিগন্তের সব স্বপ্ন,ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় আকার-নিরাকার ইচ্ছেরা;আটকে পড়ে সব কিছু গোলাকার মার্বেলের মতো কঠিন স্বচ্ছ কাঠিন্য যাতনায়।

Advertisement

ভুলের মাস্তুলে বন্দি মাতানো রোদ্দুর অকস্মাৎ বেড়ে যায় দীর্ঘশ্বাস-অবাঞ্ছিত হয়ে উঠে রাজ্যের অভিমান—পাঁজরের হাঁড় ভেঙে যায় ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়অন্ধকার অরণ্যে ভাসতে থাকে চুপচাপ।

ধুলোয় লুটিয়ে পড়ে তোমায় দেওয়া রক্তাভ গোলাপের পাপড়িআনাড়ি সাজে ভালোবাসারা, অন্তরের নৈশব্দে হারিয়ে যায়; বেড়ে যায় যতসব কোলাহল—কিঞ্চিৎ অবহেলায় রোরুদ্যমান হয় পৃথিবী, এ যেন নরক সুন্দর চিতাভস্মের সমাধিসৌধ।

****

ঘুমহীন রাত্রি

Advertisement

ঘুমহীন রাত্রির দখলে অযাচিত সময়এলোমেলো যন্ত্রণায় অমোঘ এক দহননৈরাশ্য জীবনে এ অস্ফুট এক আলাপন।

ভয়াল কালো হয়ে ওঠে নিমিষে আপনউনুনের তাপে সিদ্ধ হয় মজ্জা মগজসুস্থির জীবন আঁধারিতে ঢাকে আনমন।

খেয়ালের চ্যুতিতে ভিমরি খায় যত আহ্লাদস্মৃতির ডায়েরির পাতা অতীত পানে ছুটে সামনে এসে যায় অনিচ্ছার স্মৃতিরা ক্রমশ।

অপলক আলাপনে কত কিছু মনে মনেনেশার তুবড়ি ছোটে অনিচ্ছায় সারাক্ষণঘুমহীন রাত্রি একা করে দিয়ে যায় ভীষণ।

এসইউ/এএসএম