ক্যাম্পাস

পদ পেতে ঢাকামুখী ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা

এক বছর পেরিয়ে গেছে কমিটি বিলুপ্তির। এখনো দেখা মেলেনি নতুন নেতৃত্বের। নেতৃত্বশূন্য হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের। কমিটি না থাকায় গ্রুপভিত্তিক রাজনীতিতে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছেন কর্মীরা। ফলে দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে অন্তর্কোন্দল ও বিভেদ-বিভাজনে অনেকটাই বিশৃঙ্খলভাবে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম।

Advertisement

সম্প্রতি নতুন কমিটি আসার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। এতে সজাগ হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন এ ইউনিটের পদপত্যাশীরা। ঢাকামুখী হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ মে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাত সদস্যের কমিটি অনুমোদন করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

মেয়াদ উত্তীর্ণের দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন তৎকালীন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। ওই কমিটি ঘোষণার পর আর দেখা মেলেনি নতুন কমিটির।

Advertisement

প্রায় আট বছর এক কমিটিতে কাটিয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই ছাত্রলীগের এ ইউনিটে দেখা মেলেনি নতুন নেতৃত্বের।

ছাত্রলীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, সদস্য মোশারফ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, ফিরোজ আলম ভূঁইয়া, মামুন শাহ, মুনকীর কাজী, আব্দুল্লাহ আল রোমান, মাহবুবুর রহমান, ফারহান রুবেল, রাকিবুল হাসান মিলন, শাহাদাত হোসেন সীমান্ত, মেহেদী হাসান স্বাধীন, তারেক হালিমী, সুমন চন্দ্র সরকার, তায়েফ হুসাইন, রাজীব সরকার, সুমন মিয়া, শাহরিয়ার স্বপন, রোহিতুজ্জামান নাজমুল, রায়হান মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, ইফতেখার আহমেদ রানাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আসন্ন কমিটিতে জায়গা করে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শাবি ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা দায়িত্ব নেওয়ার পর করোনাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও অনেকগুলো ইউনিটের কমিটি হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ইউনিটের কমিটি হয়নি। তবে আশা করছি খুব শিগগির ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্যদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শাবিতে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। আশা করি, অচিরেই কর্মীবান্ধব, সুযোগ্য ও পরিশ্রমী ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন নেতৃত্ব আসবে।’

Advertisement

সাবেক সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, আমরা চাই যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে নতুন কমিটি আসুক। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, খুব শিগগির কমিটি আসতে পারে। তবে কবে আসবে নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।

এসআর/এমএস