দেশজুড়ে

আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কে নিত্যসঙ্গী যানজট

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কের যানজট যেন নারায়ণগঞ্জবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

Advertisement

বর্তমানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে এটি। দিন দিন এ সড়কে দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিশুক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ট্যাংক লরি, যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও কাভার্ডভ্যানসহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল বেড়েই চলেছে। ফলে যানবাহনের চাপ বাড়ায় যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এ সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের পাশের ডিপিডিসির কার্যালয়, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আদমজী ইপিজেড, র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ অসংখ্য পােশাক কারখানা রয়েছে। বর্তমানে শুধু আদমজী ইপিজেডেই অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মরত। ফলে যানবাহনের চাপের পাশাপাশি মানুষের অত্যাধিক চাপের কারণে দুই লেনের সড়কটি এখন ‘যানজটের সড়কে’ পরিণত হয়েছে।

সড়কটির পাশেই সিদ্ধিরগঞ্জ লেক ঘেঁষে দুই লেনের আরেকটি সড়ক নির্মাণ হলেও তা হকারদের দখলে থাকায় কোনো সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

Advertisement

জাহানারা আক্তার নামের এক পোশাকশ্রমিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাতে অফিস ছুটি হলে যানজটের কারণে আমাদের হেঁটে বাসায় যেতে হয়। সারাদিন পরিশ্রম করে এভাবে বাড়ি যাওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সুমন মিয়া নামের একজন অটোচালক বলেন, ‘সকালবেলা এ রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও সন্ধ্যার পর তা সম্ভব হয় না। রাতের দিকে যানজট এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে একটি স্থানেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়।’

কলেজছাত্র মামুনুর রশীদ বরেন, ‘মাঝেমধ্যে দিনের বেলাতেও এ সড়কে অনেক যানজট থাকে। ফলে আমরা সময়মতো কলেজে যেতে পারি না। অনেক সময় যানজটের কারণে পরীক্ষা চলাকালীন আমাদের হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়।’

একই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা আফসানা মিমির। তিনি বলেন, ‘যানজটের কারণে আমাদের একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে আমাদের সময়ের অপচয় হচ্ছে। একজন অসুস্থ হলে জরুরিভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না।’

Advertisement

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সামিউল কাদির খান বলেন, আদমজী থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত একটা সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ওই সড়কের কাজ শেষ হলে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সোহান সরকার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

এসআর/এএসএম