দুর্ঘটনা কিংবা কঠিন কোনো রোগ বলে কয়ে আসে না! হঠাৎ দুর্ঘটনা সম্পর্কে কোনো ধারণা বা পূর্বাভাস না থাকলেও কঠিন কোনো ব্যাধির ক্ষেত্রে কিন্তু চিকিৎসকরা রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থার ধারণা দিতে পারেন পরিবারকে।
Advertisement
ঠিক যেমন ক্যানসার রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সময়সীমা বেঁধে দেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কানাডিয়ান এক পরিবারের ৩ সন্তানের সঙ্গে।
ওই পরিবারের ৪ সন্তানের মধ্যে ৩ জনই অন্ধ হওয়ার পথে! আর তাদেরকে শেষবারের মতো পৃথিবীর রূপ ও রং দেখাতে বাবা-মা সব সন্তানদেরকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন বিশ্ব ভ্রমণে। যা সত্যিই অবাক করার মতো একটি বিষয়।
কানাডিয়ান দম্পতি এডিথ লেমে ও সেবাস্টিয়ান পেলেটিয়ারের বড় সন্তানের নাম মিয়া (১২)। সে রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এটি একটি বিরল জেনেটিক অবস্থা, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়।
Advertisement
বড় সন্তানের পর এবার লেমে ও পেলেটিয়ার ছোট দুই ছেলে কলিন (৭) ও লরেন্ট (৫) একই রোগে ভুগছে। তারা সবাই এখন অন্ধ হওয়ার জন্য দিন গুনছে।
View this post on InstagramA post shared by Plein Leurs Yeux (@pleinleursyeux)
ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউট অনুসারে, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসার লক্ষণগুলো সাধারণত শৈশব থেকেই শুরু হয় ও বেশিরভাগ মানুষই বয়স বাড়তেই দৃষ্টিশক্তি হারায়।
৬ জনের পরিবারের মধ্যে ৩ শিশুর চোখের আলো নিভে যাওয়ার বিষয়টি তার বাবা-মায়ের কাছে সত্যিই কষ্টকর। তবে তারা গুরুত্বপূর্ণ এই সময় নষ্ট না করে বরং সন্তানদের ইচ্ছেপূরণে বেরিয়েছে বিশ্বভ্রমণে।
Advertisement
তাদের চোখের আলো নিভে যাওয়ার আগেই যেন তারা পুরো বিশ্ব ঘুরতে পারে, সেদিক বিবেচনা করেই বাবা-মা এক বছরের সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েছেন এই ভ্রমণে।
কানাডিয়ান এই পরিবার চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়। তাদের কোনো নির্ধারিত সফরসূচি নেই। পরিবারটি এখন পর্যন্ত নামিবিয়া, জাম্বিয়া, তানজানিয়া, তুরস্ক, মঙ্গোলিয়ায় ঘুরেছে।
এখন তারা ইন্দোনেশিয়ায় এক সপ্তাহ কাটাচ্ছে। তারা ২০২০ সালেই রাশিয়া ও চীন ভ্রমণে বের হতে চেয়েছিল, তবে করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: সিএনএন/ ডেইলি মেইল
জেএমএস/জিকেএস