টানা দুই কার্যদিবস কমার পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে অপর দুই মূল্যসূচক। সূচকের এমন মিশ্র প্রবণতার দিনে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সিএসই-৩০ সূচক। সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্যে এ বাজারটিতেও লেনদেন বেড়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দুই বাজারে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। তবে ভালো হিসেবে বাছাই করা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। এ কারণে কমেছে বাছাই করা মূল্যসূচক।
এর আগে গত সপ্তাহসহ টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। চার সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৪১১ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস কমে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লেনদেনের প্রথমদিকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। ফলে লেনদেনের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা সবকটি সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে বাড়ে ৩৭ পয়েন্ট। আর লেনদেনের তিন ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৩৯ পয়েন্ট।
অবশ্য এমন অবস্থায় ভালো কোম্পানি হিসেবে ডিএসইর বাছাই করা বেশিরবাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। যা অবশ্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে কমে আসে প্রধান মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখীতা। আর পতনের তালিকায় নাম লেখায় বাছাই করা কোম্পানিটি গঠিত দুই সূচক।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ১৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৮০ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৩৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবথেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, শাইনপুকুর সিরামিক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, মালেক স্পিনিং, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/কেএসআর/এএসএম