দেশজুড়ে

যশোরে দেখা মিললো আরেক খর্বাকৃতির গরু, নাম উঠতে পারে গিনেসে

গরুর নাম ‘ঝন্টু’। ভালবেসে কেউ কেউ ‘টুনটুনি’ও ডাকে। এই ঝন্টুর উচ্চতা মাত্র ১৭ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ৩১ ইঞ্চি এবং ওজন ২০ কেজির মতো। যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের খামারবাড়ি গ্রামের সরোয়ারের বাড়িতে গরুটির দেখা মিলেছে। আকৃতি এরকমই থাকলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

Advertisement

এদিকে, খর্বাকৃতির এই গরু দেখতে মালিকের বাড়িতে দূর-দূরান্ত লোকজন আসছেন। অনেকে আবার গরুটি কিনতেও চাইছেন। মালিক দাম হাঁকছেন পাঁচ লাখ টাকা। এরই মধ্যে দেড় লাখ টাকা দামও উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, গত রোজার ঈদের পরদিন সরোয়ারের বাড়িতে এই এঁড়ে বাছুরটির জন্ম হয়। জন্মের সময় বাছুরটি আরও অনেক ছোট ছিল। এর পর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও গরুটি খুব একটা বেড়ে ওঠেনি।

এদিকে, এই এঁড়ে বাছুরটি বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে গিনেস রেকর্ডে স্থান পাওয়া ভারতের কেরালার ‘মানিক্যান’ গরুর উচ্চতা ছিল ২৪ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ৪০ কেজি। পরে আমাদের দেশের আশুলিয়ার একটি ফার্মে রানী নামে গরুটি গিনেস রেকর্ডে স্থান পায়। সেটির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ২৬ কেজি। যে কারণে ঝন্টু নামের এই গরুটি গিনেস রেকর্ডে স্থান পেতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। তবে গিনেসে নাম ওঠার জন্য গরুটি পূর্ণবয়স্ক হওয়া প্রয়োজন বলে জানা গেছে।

Advertisement

গরুটির মালিক সরোয়ার হোসেন জানান, তার বাড়িতে তিনটি গাভি রয়েছে। স্থানীয় এক পশুচিকিৎসকের কাছ থেকে তিনটি গাভিকে সিমেন দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুটি গাভি স্বাভাবিক বাচ্চার জন্ম দিলেও একটি গাভি খর্বাকৃতির এঁড়ে বাছুরের জন্ম দেয়।

তিনি আরও জানান, দুই দিন আগে পাবনা থেকে কয়েকজন লোক তার বাড়িতে আসেন। তারা বাছুরটি কিনতে চান। তাদের কাছে সরোয়ার বাছুরটির দাম চান পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু তারা দেড় লাখ টাকা দিতে চাইলেও তিনি বিক্রি করেননি।

গাভির সিমেন বিক্রয়কারী সাইফুল কবীর জানান, তিনি আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড কোম্পানির সিমেন বিক্রি করেন। সরোয়ারের তিন গাভির জন্য একই সিমেন দেওয়া হলেও একটি খর্বাকৃতির এঁড়ে বাছুর জন্ম নেয়।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পার্থ প্রতিম রায় বলেন, জেনেটিক্যাল কারণে এটি হতে পারে। তবে, বাছুরটি দেখে বাকিটা বলতে পারবেন।

Advertisement

মিলন রহমান/এমআরআর/এএসএম