স্বাস্থ্য

১৫ থেকে ৩০ বছরের ছেলেমেয়েদের ইগো বেশি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে ইগোকে দায়ী করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

তিনি বলেন, ১৫ থেকে ৩০ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইগো বেশি থাকে। এসময় আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি থাকে। বাবা-মা অথবা অভিভাবকদের এ বয়সী ছেলেমেয়েদের সময় দিতে হবে, খোঁজ-খবর রাখতে হবে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ডা. মিলন হলে ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি করো’ স্লোগান সামনে রেখে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের উদ্যোগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিপ্রেসন। ইদানীং ডিপ্রেসন বেড়ে গেছে। করোনায় অনেকের ডিপ্রেসনের কারণে ব্লাড প্রেশারও বেড়ে গেছে। যাদের ডায়াবেটিস ছিল না তাদেরও হয়েছে। অনেকের চোখের সমস্যা হচ্ছে। আগে অনেকে চশমা না পরলেও এখন অনেকের চশমার প্রয়োজন হচ্ছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, একাকিত্ব থাকার সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে অনেকে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আবেগের কারণে ছেলে-মেয়েরা প্রেম ভালোবাসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেম-ভালোবাসাজনিত বিচ্ছেদের কারণেও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, জেনেটিক কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করে। পরিবারের মধ্যে কারও যদি এ ধরনের প্রবণতা থাকে তাদের এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তিনি মনোরোগবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও আত্মহত্যার কারণ, সম্প্রতি আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার বের করার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশনাও দেন।

গুরুত্বপূর্ণ ওই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, এটিসিবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার।

এছাড়াও সেমিনারে ম্যানেজমেন্ট অব সুইসাইড সারভাইভারস-এর ওপর প্যানেলিস্ট হিসেবে মনোশিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. এম মুহিত কামাল আলোচনা করেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মহসীন আলী শাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সিফাত ই সাইদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জহুরা। আর সমন্বয় করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আতিকুর রহমান।

এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম