বিনোদন

নেচে-গেয়ে ‘বীরত্ব’র প্রচারণায় ইমন-সালওয়া, মুক্তি ১৬ সেপ্টেম্বর

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে তরুণ নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানার প্রথম সিনেমা ‘বীরত্ব’। সিনেমাটির মুক্তিকে সামনে রেখে এরইমধ্যে প্রচারণায় নেমেছে পুরো ইউনিট।

Advertisement

সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে ইমন-সালওয়া দুজনকেই দেখা যাবে এমবিবিএস চিকিৎসকের চরিত্রে। যেহেতু সিনেমার পটভূমি চিকিৎসকদের নিয়ে এজন্য সিনেমা হল ও অন্যান্য জায়গায় প্রমোশনের পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন ‘বীরত্ব’ সিনেমার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলীরা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ছিল ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সেল নার্সিং কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। নবীনদের এদিনকে আরও আনন্দমুখর করতে ‘বীরত্ব’ টিম পৌঁছায় মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে-গানে মঞ্চ মাতানোর পাশাপাশি সেখান ‘বীরত্ব’ সিনেমা সংশ্লিষ্ট কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আর জে নিরব।

Advertisement

এসময় শিক্ষার্থীদের হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আহ্বান জানান ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

এসময় চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ছোটবেলার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। হয়েছি অভিনেতা। কিন্তু আমার ডিরেক্টর এমবিএস পাস না করিয়েই ডাক্তার রাজু বানিয়ে দিয়েছেন। এ সিনেমায় আমি ডাক্তার রাজু হিসাবে রোগী দেখেছি। তাদের ওষুধ দিয়েছি। তারা সুস্থও হয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময় ডাক্তাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন। এজন্য পৃথিবীর সব ডাক্তারদের স্যালুট জানাই। বাংলাদেশে র‍্যাব, পুলিশ নিয়ে অনেক সিনেমা হয়েছে। কিন্তু একজন ডাক্তারের জীবনটাকে সেভাবে কোনো সিনেমায় তুলে ধরা হয়নি। বীরত্ব সিনেমায় আমি ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব করেছি।

সিনেমার পরিচালক সাইদুল ইসলাম রানা বলেন, ডাক্তারি পেশার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ সবসময়ই। এ সিনেমায় আমি ডাক্তারদের বীরত্বের কথাও বলেছি। আপনারা সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখলে সেটা অনুভব করতে পারবেন।

Advertisement

বীরত্ব সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে নিশাত নাওয়ার সালওয়ার। এ অভিনেত্রী বলেন, আমি এ সিনেমায় ডাক্তার দিনাত চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমরা প্রত্যেকে এ সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। আপনারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখলে কষ্ট সার্থক হবে।

সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক রঞ্জন দত্ত বলেন, এটা আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পিং পং এন্টারটেইনমেন্টের তৃতীয় সিনেমা। এ সিনেমার গল্প আমাকে পরিচালক যখন শোনান খুবই ভালো লেগেছিল। একজন ডাক্তার শুধু রোগ নিরাময়ে পাশে থাকে তা না, সমাজের বিভিন্ন ক্রাইসিস মুহূর্তে ডাক্তাররা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেটা দেখানো হয়েছে। পুরো পরিবার একত্রে দেখার মতো একটি সিনেমা এটি। আশা করছি, সিনেমা দেখে কেউ নিরাশ হবেন না।

পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানা। পিং পং এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন শুক্লা বণিক।

ইমন-সালওয়া ছাড়াও সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন বড়দা মিঠু, আহসান হাবীব নাসিম, ইন্তেখাব দিনার, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

এমআই/এএএইচ