পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই বেড়েছে মূল্যসূচক। মূল্যসূচক বাড়লেও অধিকাংশ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। সেইসঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এমন বাজারে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে পাট খাতের। অন্যদিকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৭৭৯ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। তবে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৫টির।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯০২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এমন বাজারে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ।
Advertisement
এছাড়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাত ৫ শতাংশ, ব্যাংক খাত ৩ শতাংশ, বস্ত্র খাত ১১ শতাংশ, প্রকোশল খাত ১২ শতাংশ, জীবন বিমা খাত ৪ শতাংশ, সেবা ও আবাসন ৪ শতাংশ, অব্যাংকিং আর্থিক বা লিজিং খাত ৪ শতাংশ, সিমেন্ট খাত ৪ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণ খাত ৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৬ শতাংশ এবং আইটি খাত ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে লেনদেনে।
লেনদেন বাকি খাতগুলোর অবদান দুই শতাংশ বা তার কম। এর মধ্যে চামড়া সাধারণ বিমা খাত ২ শতাংশ, সিরামিক খাত ২ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ১ শতাংশ এবং টেলিযোগাযোগ খাত এক শতাংশ অবদান রেখেছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে বেশিরভাগ খাত দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আর যে কয়টি খাত দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে পাট খাতের। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, ওষুধের ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সিমেন্টের ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং বিবিধ খাতের ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাম বেড়েছে।
Advertisement
এছাড়া সাধারণ বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। ২ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম কমেছে জীবন বিমা খাতের। দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমেছে আইটি খাতের।
বস্ত্রের ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, টেলিযোগাযোগের দশমিক ৫৮ শতাংশ, চামড়ার দশমিক ২১ শতাংশ, সেবা ও আবাসনের ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণের ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দশমিক ২৫ শতাংশ, খাদ্যের দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রকৌশলের দশমিক ৮৪ শতাংশ, সিরামিকের ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ব্যাংকের দশমিক ৬৪ শতাংশ দাম কমেছে।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম