সম্পর্ক টিকেয়ে রাখতে বিশ্বস্ত, অনুগত বা লয়্যাল থাকা জরুরি। বিশ্বস্ত হওয়া মানে কারো প্রতি নিবেদিত হওয়া ও বিশ্বস্ত থাকা। এটি একটি সফল সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরিহার্য বিষয়।
Advertisement
যে সম্পর্কে দুজনের মধ্যে আনুগত্য রয়েছে সেখানে ইগো, ক্ষতি, দুঃখ বা রাগের স্থান নেই। সবাই চায় তার জীবনসঙ্গী যেন বিশ্বস্ত প্রকৃতির হন। তবে আপনি কীভোবে বুঝবেন আপনার সঙ্গী আদৌ লয়্যাল বা বিশ্বস্ত কি না-
কোনো গসিপিং নেই
অনেকেই সঙ্গীর আড়ালে অন্যের কাছে নানা বিষয়ে গসিপিং করেন মজার ছলে হলেও। তবে আপনার সঙ্গী যদি লয়্যাল প্রকৃতির হন তাহলে কখনো তিনি অন্যের কাছে নিজের সঙ্গীর বিষয়ে কটূ কথা বলবেন না।
Advertisement
যত্নশীল
সঙ্গী আপনার প্রতি অনুগত কি না তা আপনি টের পাবেন তার কেয়ারিং স্বভাবের গুণেই। লয়্যাল পার্টনাররা সব সময় সঙ্গীর প্রতি যত্নবান হন।
সম্মান করা
দাম্পত্যে একে অপরকে সম্মান করার বিষয়টি অনেকেই মনে রাখেন না। তবে সম্পর্ক সুখের করতে দুজনের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি। সঙ্গী আপনার প্রতি লয়্যাল কি না তা আপনি আরও বুঝতে পারবেন আপনার প্রতি তার সম্মান আছে কি না তা যাচাই করে।
Advertisement
প্রতিশ্রুতি পূরণ
সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া, বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা খুবই জরুরি। একে অপরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করা সঙ্গীর আনুগত্যের প্রমাণ দেয়।
ধৈর্য ধারণ করা
ধৈর্য সম্পর্কের ভীতকে আরও মজবুত করে ও সংসারের শান্তি বজায় রাখে। একসঙ্গে দুজন মানুষ সংসার শুরু করলে অবশ্যই ধৈর্য্য ধারণ করতে হয় বিভিন্ন বিষয়ে। এই গুণও কিন্তু আপনার লয়্যাল থাকার পরিচয় দেয়।
কীভাবে একটি সম্পর্কে লয়্যাল থাকবেন?
একে অপরের কাছে কিছু গোপন না রাখা, আপনার ও সঙ্গীর মধ্যকার পার্থক্য বোঝা, সঙ্গীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া, ক্ষমাশীল হওয়া, একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ না রাখা ইত্যাদি বিষয় মাথা রাখা জরুরি।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস