কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে বঙ্গবন্ধু হলের প্রধান ফটকের সামনে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে রাত ১২টায় নজরুল হলের সামনে আবারও সংঘর্ষ হয়।
এতে আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনুপ, রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগসহ উভয় হলের ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
পূর্বের ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্ররা নজরুল হলের সামনে এলে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্ররা নজরুল হলের সামনে অবস্থান করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় উভয় হলের ছাত্রদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামাজ শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চান বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাইল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমি সবাইকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। এখন হলের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে না ঘটার জন্য আমার সভাপতির সঙ্গে বসতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে সমাধান করবো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের কথা শুনে আমি হলে আসি। এরপর প্রক্টোরিয়াল টিমকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে এসে হলের ফটক বন্ধ করে দিই। এখন শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছে। তবে আমার শিক্ষার্থীদের যারা মারধর করেছে তাদের বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ অবস্থানে রয়েছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বসে এটা সমাধান করব।
Advertisement
এফএ/এমএস