রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। দীর্ঘতম এ শাসকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরের প্রাঙ্গণ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রানির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে।
Advertisement
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই রানি ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই টুইটারে ভিড় করতে শুরু করেন ব্রিটেনসহ পুরো বিশ্বের মানুষ। রানির মৃত্যুতে শোক জানাতে সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন। হঠাৎ বিপুল সংখ্যক মানুষ এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার শুরু করার পরেই বন্ধ হয়ে যায় টুইটারের কয়েকটি সার্ভার। ফলে বিপর্যস্ত হয় পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ সময় ব্যবহারকারীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাউনডিটেক্টর। বিশ্বের একাধিক দেশ থেকে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগ করেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। যদিও কোনো নির্দিষ্ট দেশে পরিষেবা বন্ধের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি টুইটারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ব্রিটেন জুড়ে শোকের ছায়া। রানির মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই ব্রিটেনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস সংলগ্ন গ্রিক পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
২০১৭ সালে রানি তার মৃত্যু নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন তার মৃত্যুর খবর প্রথমে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোডেড বার্তায় পাঠাতে হবে। কোডটি হবে ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ডাউন’। এরপর প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্বের বাকি মিডিয়ার কাছে সংবাদ দেওয়া হবে। এই টুইটটি ৬ লাখ ৫০ হাজার বারের বেশি বার রিটুইট করা হয়েছিল। ২ মিলিয়নেরও বেশি লাইক পড়েছিল।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
কেএসকে/এমএস
Advertisement