সুখ-দুঃখ, আনন্দ-ব্যথা তথা সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করেই মানুষের কাজ। কেননা দোয়াকে ইবাদত বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহর এই স্মরণকে জিকিরও বলা হয়ে থাকে। দুনিয়ার সব অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে বিভিন্ন দোয়া ও আমল মানুষের জন্য দিয়েছেন। যার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার অনিষ্ট ও আখিরাতে মুক্তি পাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এমন একটি দোয়াট সকাল-সন্ধ্যায় এবং ঘুমানোরর সময় পড়তে বলেছেন। দোয়াটি হলো-
Advertisement
اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّماوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আলিমাল গাইবি ওয়াশ্শাহাদাতি ফাত্বিরাস্ সামা-ওয়াতি ওয়ালআরদি রাব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালিকাহু। আশ্হাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আউজুবিকা মিন শার্রি নাফসি ওয়া মিন্ শাররিশ শাইত্বানি ওয়া শিরকিহি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি অদৃশ্য ও দৃশ্যকে জান, আসমান ও জমিনের তুমি স্রষ্টা, প্রত্যেক বস্তুর তুমি প্রতিপালক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমি আমার মনের কুমন্ত্রণা, শয়তানের কুমন্ত্রণা ও তার শিরক থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)
Advertisement
হে আল্লাহ! আপনি উম্মাতে মুসিলমাকে সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর সময় এ দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম