রাজনীতি

মদন মোহন কলেজে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত

সিলেট মদন মোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দু`জনের অবস্থা গুরুতর। শনিবার বেলা দেড়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সদস্য ও মদন মোহন কলেজ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, টিলাগড় গ্রুপের নেতা সায়েম আহমদ ও মদন মোহন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী রাকিল আহমদ। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেটের মদন মোহন কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সত্যজিৎ দাশকে ছুরিকাঘাত করেন সায়েমসহ তার গ্রুপের কয়েকজন। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে ছুরিকাঘাতকারী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম আহমদকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। এসময় সত্যজিৎ গ্রুপের কর্মীদের হাতে সায়েমও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। সায়েম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সায়েমকে পুলিশে সোর্পদ করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছুরিকাহত সত্যজিৎ দাশকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া রাকিলকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।কাশ্মীর গ্রুপের সদস্যরা জানান, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সত্যজিৎ বৈঠক করে বের হয়ে আসার সময় বাইরে থেকে এসে সায়েম তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া করে সায়েমকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকা থেকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ পুলিশ ডেকে সায়েমকে তুলে দেন।তবে ছাত্রলীগ নেতা সায়েম আহমদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ছোটবোনকে নিয়ে মদন মোহন কলেজে গেলে সত্যজিতসহ জেলা ছত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরা তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন।এদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সত্যজিৎকে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ জানান, কলেজের শিক্ষার্থীরা আহত সত্যজিতকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। হামলার ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীরা এক যুবককে ক্যাম্পাসে এনে মারধর করছে দেখে তিনি ছুটে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। উদ্ধারের পর তিনি জানতে পেরেছেন হামলাকারীর নাম সায়েম আহমদ। সে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর কলেজ প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ছামির মাহমুদ/এমজেড/এবিএস

Advertisement