খেলাধুলা

ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়েই মুস্তাফিজকে জিতল হায়দারাবাদ

অভিষেকটা হয়েছিল গত বিশ্বকাপের পরপরই। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। প্রতিপক্ষ দলে শহিদ আফ্রিদি কিংবা মোহাম্মদ হাফিজের মত ক্রিকেটার; কিন্তু তরুণ এই পেসারের আক্রমণ সামলাতে পারেনি আফ্রিদিরা। নিজে তো আউট হয়েছেনই, উইকেট বিলিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজও। এরপর ওয়ানডে অভিষেক ভারতের বিপক্ষে। দুর্দান্ত অভিষেকে পুরো বিশ্বেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়কে পরিণত হলেন তিনি।এরপর থেকে স্বপ্নের মতই কাটছে মুস্তাফিজের দিনগুলো। ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বিদেশী লিগগুলোর যে মনযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। মুস্তাফিজ নজর কেড়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগ কিংবা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট (সিপিএল) লিগ কর্মকর্তাদেরও। আইপিএলেও যে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবেন, সেটাও ছিল অনুমেয়।অবশেষে হলোও তাই। ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত নবম আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠানে মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ টানাটানি করলো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বাংলাদেশি বাম হাতি কাটার মাস্টারের ভিত্তি মূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি। সেখান থেকে দর হাঁকানো শুরু করে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।শুরুতেই ৫৫ লাখ রুপি দর হাঁকায় সানরাইজার্স। এরপর ব্যাঙ্গালুরুর মালিক বিজয় মালিয়া প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিলেন দর হাঁকানোর জন্য। তারা আরও ৫ লাখ রুপি বাড়িয়ে, ৬০ লাখ রুপি দর হাঁকালো। ৫ লাখ করে বাড়ালো সানরাইজার্সও। ৫ লাখ করে পাল্টাপাল্টি চলতেই থাকে দু`দলের কর্মকর্তাদের মধ্যে। এভাবে চলল ৯৫ লাখ রুপি পর্যন্ত। হঠাৎকরে এই জায়গা থেকে এক লাফে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ মূল্য হাঁকিয়ে বসলো ১ কোটি ২০ লাখ রুপি। ব্যাঙ্গালুরু হাঁকালো ১ কোটি ৩০ লাখ। সর্বশেষ সানরাইজার্স হায়দারাবাদ হাঁকালো ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি মূল্য।এ পর্যায়ে গিয়ে সানরাইজার্সের কাছে হার মানতে বাধ্য হলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষ পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দারাবাদই জিতে নিলেন বাংলাদেশের পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানকে।আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement