অনেকেই শখ করে খরগোশ পালন করেন। দিন দিন খরগোশ পালন জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করছেন। দুটি উপায়ে সহজে খরগোশ পালন করা যায়। এবার জেনে নিন সেই উপায় দুটি সম্পর্কে।
Advertisement
খরগোশ পালননের প্রথমটি হলো গভীর লিটার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি কম সংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য উপযোগী। মেঝেতে মাটি খুঁড়ে গর্ত বানানো বন্ধ করার জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিত। মেঝের উপর ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, ধানের খড় অথবা কাঠের ছিলকা ইত্যাদি ছড়িয়ে দিতে হবে।
এই পদ্ধতিতে এক সঙ্গে ৩০টির বেশি খরগোশ প্রতিপালন করা ঠিক নয়। পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখা উচিত। অবশ্য এভাবে প্রতিপালন করলে খরগোশ সহজে রোগাক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া খরগোশকে সামলানোও খুব অসুবিধা।
আমাদের দেশে সাধারণত পরিবহনযোগ্য নেটের খাঁচা বা কাঠের বাক্সে খরগোশ প্রতিপালনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি খামারীরা দিনের বেলায় ঘরের বাইরে এবং রাতে ঘরের ভিতরে আনতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো কোনা এলাকাতে পুরুষ এবং স্ত্রী খরগোশ একত্রে রাখা হয় কিন্তু বাচ্চা দেবার পর বাচ্চাসহ স্ত্রী খরগোশকে আলাদা করে ফেলা হয়। আবার কোনো কোনো এলাকায় স্ত্রী এবং পুরুষ খরগোশকে সবসময় আলাদা রাখা হয়। কেবলমাত্র প্রজননের সময় পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের নিকট দেয়া হয়।
Advertisement
খাঁচা পদ্ধতিটিও খরগোশ পালনের জন্য বেশ ভালো। বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ প্রতিপালনের জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩ থেকে ৪ তাক বিশিষ্ট খাঁচা বেশি উপযোগী। প্রতিটি তাকে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে খোপ তৈরি করতে হবে।
খাঁচাতে খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখতে হবে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট। পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘরসহ), বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট পূর্ণবয়স্ক খরগোশের খাঁচা ১.৫ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ উঁচু হওয়া উচিত।
এতে বাড়ন্ত দুইটি খরগোশ পালন করা যাবে। বড় আকারের খরগোশের জন্য ৩ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট খাঁচা উপযোগী। ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁশের বা পাকা ঘরে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি খরগোশ খাঁচায় লালন-পালন করা যায়।
এমএমএফ/এমএস
Advertisement