ভেঙে পড়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অপরাধ ও যানজট নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং কার্যক্রম। নগরীর সাতটি প্রবেশপথসহ ২৬টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে লাগানো ৯৯টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ৫৭টিই নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে সচল আছে মাত্র ৪২টি ক্যামেরা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছিল সিএমপি। এখান থেকে অপরাধ ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হতো। কিন্তু ওই ক্যামেরাগুলো নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। কেননা এসব ক্যামেরাগুলোই অধিকাংশই লাগানো হয়েছিল বিলবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে। নগরীর চলমান বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে খুটিগুলো কেটে ফেলায় নেমে যাচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোও। শনিবার পর্যন্ত ৫৭টি ক্যামেরা নামিয়ে ফেলা হয়েছে বলে নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (নগর গোয়েন্দা দক্ষিণ) বাবুল আক্তার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো বিলবোর্ডের সঙ্গে নেমে যাচ্ছে। সেগুলো নামিয়ে ফেলার পর সংশ্লিষ্ট থানায় জমা রাখা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো আবার লাগানো হবে কিনা এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে ক্যামেরাগুলো থাকলে আমাদের অপরাধ ও যানজট নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুবিধা হয়।সচল থাকা বাকি ৪২টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও কয়েকদিনের মধ্যে নামিয়ে ফেলা হবে। কারণ এগুলোর অধিকাংশই বিলবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে লাগানো আছে বলে নগর পুলিশকে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। ২০১৪ সালের জুনে মোট তিন ধরনের ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে- পিটিজেড ক্যামেরা যেটা গাড়ির নম্বর সংরক্ষণ করে, ফেস ডিটেক্টর, যেগুলো- মিটিং-মিছিল, সমাবেশসহ জনসমাগমের চিত্র নিঁখুতভাবে ধারণ করে এবং ১২০০ টিবিএল ক্যামেরা, যেগুলো- ওভারঅল ভিউ ধারণ করে।নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সিটি গেইট, একে খান মোড়, অলংকার মোড়, জিইসি, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন মোড়, সাগরিকা, সিইপিজেড মোড়, রাহাত্তারপুল, শাহ আমানত সেতু, নিউমার্কেট, কাজির দেউড়ি মোড়সহ ২৬টি পয়েন্টের প্রত্যেকটিতে চার-পাঁচটি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। যাতে ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক তার কেনা, সার্ভিসিং এবং স্থাপনে ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। যার সম্পূর্ণ অর্থ সিএমপির নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. শফিউল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় আমাদের সঙ্গে পুলিশ অফিসাররাও থাকেন। সমন্বয় করেই কাজটা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো নামিয়ে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক। সেগুলো আবার কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে লাগিয়ে দেয়া হবে কিনা এই প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারব না। যোগ করেন কাজী মো. শফিউল আলম। একে/আরআইপি
Advertisement